অবশেষে আরো ২০ হাজার বাংলাদেশি হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই সৌদি সরকারের মজলিসে শুরা (সংসদ) ওজারাতুল হজ (ধর্ম মন্ত্রণালয়) নীতিগতভাবে নির্ধারিত কোটার বাইরে ২০ হাজার বাংলাদেশি পাঠানোর ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফাইলটি সৌদি বাদশাহর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করলেই বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত ১ লাখ ১ হাজার ৭শ’ ৫৮ জনের অতিরিক্ত আরো ২০ হাজার বাংলাদেশি হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ২০ হাজার জনকে হজে পাঠানোর ব্যাপারে তারা খুবই আশাবাদী। তিনি বলেন, বাদশার দরবার থেকে এ ধরণের ফাইল নাকচ হওয়ার রেকর্ড নেই। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও লিয়াজোঁর কারণে এ সফলতা আসতে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত ৮ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) বেগম হাসিনা শিরিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত ২৫ হাজার হজযাত্রী বৃদ্ধির সুপারিশ নাকচ করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- চলতি বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ১ হাজার ৭শ’৫৮ জন হজ যাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে দেয়। তন্মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ও বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭শ’৫৮ জন হজযাত্রী পাঠানোর অনুমতি পাওয়া যায়।
কিন্তু চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার জনে দাঁড়ায়। আবেদনকারীদের সকলকে সুযোগ করে দিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কোটার বাইরে অতিরিক্ত ২৫ হাজার জনকে পাঠানোর অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করলেও সৌদি সরকার তা বাতিল করে দেয়।
হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার জানান, গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ধর্মমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরব যান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সেখানে প্রথমে মজলিসে শুরার ডেপুটি স্পিকার ও পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে মজলিসে শুরা ও ওজারাতুল হজ কর্মকর্তারা ২৫ হাজারের বদলে অতিরিক্ত আরো ২০ হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন। নিয়মানুসারে মজলিসে শুরা ও ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা তাদের সুপারিশ সম্বলিত ফাইলটি সৌদি বাদশাহ্ কাছে উপস্থাপন করেন। এখন বাদশাহ ফাইলে স্বাক্ষর করলেই অতিরিক্ত ২০ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।