Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ramadan১. মুসাফির : ক. মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় রোজা না রাখারও সুযোগ রয়েছে। তবে বেশি কষ্ট না হলে রোজা রাখাই উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোজা রাখা মাকরুহ। এ অবস্থায় রোজা না রেখে পরে কাজা করে নেবে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৩)

খ. সফর অবস্থায় নিয়ত করে রোজা রাখা শুরু করলে তা ভাঙা জায়েজ নয়। কেউ ভেঙে ফেললে গোনাহগার হবে। তবে কাফফারা দিতে হবে না। শুধু কাজা করবে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৩১)

chardike-ad

গ. যে ব্যক্তি মুকিম অবস্থায় সাহরি খেয়ে সফর শুরু করেছে তার জন্য সফরের অজুহাতে রোজা ভাঙা জায়েজ নয়। ভাঙলে গোনাহগার হবে এবং শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৬)

ঘ. মুসাফির সফরের কারণে রোজা রাখেনি, কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেছে। সেদিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। আর পরে এ রোজার কাজা করে নেবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৬/২২১, হাদিস : ৯৪৩৬-৯৪৩৮)

ঙ. রমজানের দিনে হায়েয-নেফাস থেকে পবিত্র হলে অবশিষ্ট দিন রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে ওই ওজরে ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর সঙ্গে এ দিনের রোজারও কাজা করবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৬/২২১, হাদিস : ৯৪৩২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪২৮)

২. অসুস্থ ব্যক্তি : রোজার কারণে যে রোগ বৃদ্ধি পায় কিংবা আরোগ্য লাভে বিলম্ব হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, সে রোগে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ। উল্লেখ্য যে, ওই আশঙ্কা বাস্তবসম্মত হওয়া যদি একেবারেই সুস্পষ্ট হয় তবে তো কথা নেই, নতুবা একজন অভিজ্ঞ দ্বীনদার চিকিত্সকের মতামতের প্রয়োজন হবে। (আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৯; আদদুররুল মুখতার ২/৪২২)

৩. গর্ভবতী : রোজা রাখার কারণে গর্ভবতী মহিলার নিজের কিংবা সন্তানের প্রাণহানি বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির প্রবল আশঙ্কা হলে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ। পরে এ রোজা কাজা করে নেবে। (আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৯)

৪. দুগ্ধ দানকারিনী : দুগ্ধ দানকারিনী মা রোজা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ওই সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়; ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা হয় তাহলে তিনি রোজা ভাঙতে পারবেন এবং পরে কাজা করে নেবেন। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২২)

হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে— ‘আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরের জন্য রোজার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামাজ কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারিনীর জন্যও রোজার হুকুম শিথিল করেছেন। (জামে তিরমিযি ১/১৫২, হাদিস : ৭১৫)

৫. দুর্বল বৃদ্ধ ব্যক্তি : বার্ধক্যের কারণে রোজা রাখতে সক্ষম না হলে রোজা রাখবে না। এরূপ ব্যক্তির জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদয়া দেয়ার নির্দেশ এসেছে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৭)

গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান