তাঁর দুজন পূর্বসূরির শেষটা ভালো হয়নি। অনেকটা চাপের মুখেই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলী আর রাহুল দ্রাবিড়কে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার, দলে কোন্দলের গুঞ্জন আর আগামী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা মিলিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মাথার ওপরও হয়তো ঝুলছে খড়্গ। এমন কঠিন সময়ে অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন শহীদ আফ্রিদি।
এই উপমহাদেশে অধিনায়ক কিংবা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলার যে রেওয়াজ আছে, সেটা আফ্রিদিকেও কম অপমানিত করেনি। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলছেন, ‘বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারার পর এমএসের সঙ্গে যে আচরণটা করে হচ্ছে, এটা সত্যিই আমার খুব খারাপ লেগেছে। এটা আমাদের উপমহাদেশীয় রীতি, যেখানে একটা বাজে পরাজয় হলেই আমরা আমাদের নায়কদের ছুড়ে ফেলি। কখনো কখনো আসল চিত্রটা তুলে ধরে না সংবাদমাধ্যমও। তারাও এর জন্য দায়ী।’
কেউই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। আফ্রিদি সেটা মানেন। কিন্তু সমালোচনাটি ন্যায্যও হওয়া চাই বলে মন্তব্য তাঁর, ‘বলছি না কোনো খেলোয়াড় বা অধিনায়কের বর্তমান পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা যাবে না। অবশ্যই সমালোচনা করবেন, কিন্তু দয়া করে একই সঙ্গে তাঁর অতীতের অবদানের কথাও ভুলে যাবেন না। ধোনির ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুধু তাঁর রেকর্ডটা দেখুন। ভারতের কী অসাধারণ এক খেলোয়াড়ই না সে। রেকর্ডই তো ওর হয়ে কথা বলে।’
আগামী বিশ্বকাপের সময় ৩৮-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ধোনির নেতৃত্ব নিয়ে ভাবার সময় অবশ্যই এসেছে। কিন্তু ভারতকে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ারই পরামর্শ দিলেন আফ্রিদি।