বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলে উদ্দাম উদ্যাপনের মধ্যে পড়তে হবে—ব্যাপারটা অজানা থাকার কথা নয় ভারতীয় দলের। সেই ২০০৪ থেকে বাংলাদেশের কাছে প্রতিটি হারের পর বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যাপনের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে হারের পর উদ্যাপনের উদ্দামতায় রীতিমতো ভড়কে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আর তাসিকন আহমেদের পরস্পরের বুকে বুক ঠুকে উদ্যাপনের ভঙ্গিটা হয়তো চেনা। কিন্তু ভারতীয় দল বেশ মর্মাহত ম্যাশ-তাসকিনের নতুন উদ্যাপনটায়। খেলা শেষে এই দুজন কোমরের সঙ্গে কোমর ঠুকে যে উদ্যাপনটা করলেন, তা নাকি রীতিমতো দৃষ্টিকটু ঠেকছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতেই সেই উদ্যাপনের বদলা নিতে চায় তারা।
কিছু হার আছে সবকিছু হারানোরই। সে সব হারে প্রতিপক্ষের উদ্যাপনও গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয়। আজ মিরপুরের দ্বিতীয় ওয়ানডেটা ভারতের বাঁচা-মরার। আর এই মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের উদ্যাপনের কথা মনে করিয়ে দিয়েই ভারতীয় ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করা হচ্ছে। মাশরাফি-তাসকিনের ওই কোমর ঠোকাঠুকির ব্যাপারটাই সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখছে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।
অনেকেই এটাতে তেঁতে উঠছেন, অনেকেই উদ্যাপনটাকে দৃষ্টিকটু হিসেবে অভিহিত করছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি ব্রিফিংয়ের সময় এই উদ্যাপন-ভঙ্গির প্রসঙ্গ তুলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বলেছেন, ‘এর পরেও তোমরা যদি নিজেদের জাগাতে না পার, তাহলে আর কীসে জাগবে! ’
ভারতীয় দল আজ ওই ‘দৃষ্টিকটু’ বিজয়-উৎসবের জবাব দিতে মুখিয়ে আছে। খেলোয়াড়দের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা—জবাব দিতেই হবে। বাংলাদেশও চুপ করে নেই। আগের দিনের বিজয় উদ্যাপনের জবাব দেওয়াটাও যে এক কঠিন মিশন, আজ মিরপুরে সেটাই ভারতীয়দের বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুতি প্রায় শেষ মাশরাফিদের। তথ্য সূত্র: ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম