Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
Tamim_iqbal
ফাইল ছবি

ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক হলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। শনিবার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৭ রানে পৌঁছার পরই সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে টপকে তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর মালিক হন।

তবে এমন রেকর্ডের দিনে ব্যক্তিগত ইনিংসটাকে খুব বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি তামিম। ২১ বলে ১৯ রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

chardike-ad

৪০ টেস্টের ৭৭ ইনিংসে তামিমের বর্তমান সংগ্রহ ৩ হাজার ৩৯ রান। আর হাবিবুল বাশার সুমন ৫০ টেস্টের ৯৯ ইনিংস খেলে সংগ্রহ করেছেন ৩ হাজার ২৬ রান। তামিম ৪০ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি এবং ১৭টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। হাবিবুল বাশার ৩টি সেঞ্চুরি করলেও হাফসেঞ্চুরি করেছেন ২৪টি।

ভারতের বিপক্ষে এর আগে মাত্র ২ টেস্ট খেলেছেন তামিম। আর ঐ দুটি টেস্টে ব্যাট দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন বাঁ-হাতি এ মারকুটে ওপেনার। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলতে এসেছিল ভারতীয় দল। ঐ দুটি টেস্টের চার ইনিংসে তামিম করেছিলেন ৫৮.৫০ গড়ে ২৩৪ রান। সেবার তার ইনিংসগুলো ছিল- ৩১, ৫২, ০ ও ১৫১ রানের।

সেটাই ছিল ভারত-বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি হওয়া। তাছাড়া ঐ বছরটাই দারুণ কেটেছিল তামিমের। ইংল্যান্ড সফরেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। সে কারণে ২০১১ সালে মর্যাদার উইজডেন বর্ষসেরা পুরষ্কারটা জুটেছিল বাঁ-হাতি ওপেনারের।

তবে মাঝে রান-খরার কারণে ভীষণ সমালোচনায় পড়া তামিম পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে উপযুক্ত জবাবটাও দিয়েছিলেন। খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২০৬ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ড্র এনে দেন। আর এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেটাই সর্বাধিক ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

একাধারে ওয়ানডে, টি-২০ ও টেস্ট- তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই তামিম বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। ওয়ানডেতে ১৫৪, টি-২০ ক্রিকেটে অপরাজিত ৮৮ এবং টেস্টে ২০৬! এছাড়াও টেস্টে সর্বাধিক ৭টি এবং ওয়ানডেতে সর্বাধিক ৬টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে তামিমের।