বর্ষা মৌসুমে টেস্ট আয়োজন কতটা বিপদের, তা এবার ভালোই উপলব্ধি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের! গত দুদিন আগেও তপ্ত গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল। অন্য সকলের মতো বিসিবিও ধারণা করেছিল কাঠ ফাঁটা রোদের মধ্য দিয়েই শেষ হবে ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেট যুদ্ধ। কিন্তু বিসিবির পুরো হিসাবটাই পাল্টে গেল।
বুধবার টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৫০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ শতাংশে। মাঠে নামতে পারা নিয়েই দেখা দিল সন্দেহ। যা ধারণা করা হয়েছিল তা-ই হল। বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ক্রিকেটারদেরকেও নিয়ে আসা হয়নি মাঠে। হোটেল সোনারগাঁওয়ে অলস সময় পার করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে এক পশলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় স্বাভাবিক জীবনযাপন। বুধবারের মত ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পুরো আকাশ দখল করে নেয় কালো মেঘ। সকালের বৃষ্টির পর দুপুর বারোটা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বারোটার পর যখন মাঠকর্মীরা মাঠে প্রবেশ করেন তখনও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। আম্পায়াররা তখনই প্রথম মাঠে নামেন। ছাতা হাতে নিয়ে মাঠ দেখায় ব্যস্ত সময় পার করেন নাইজেল লং ও কুমার ধর্মসেনা। প্রথমবার মাঠ পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেন দুপুর আড়াইটায় আবার মাঠ দেখবেন তারা। কিন্তু ঘাতক বৃষ্টি তা আর হতে দিল কৈ?
দুপুর একটার কিছু সময় পর আবারও ফতুল্লার আকাশ ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত দুপুর একটা চল্লিশ মিনিটে শেষবারের মতো মাঠ পর্যবেক্ষণ করে আম্পায়াররা দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। একই সাথে তারা সিদ্ধান্ত নেন, টেস্টের বাকি তিন দিন সকাল দশটার পরিবর্তে খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনে ভারত টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বিনা উইকেটে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে। ৪.২৬ গড়ে রান তুলেছেন ভারতীয়রা। মাত্র এক পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ৫৬ ওভারে ভারতের একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি। বেশ সমালোচনা চলছে স্বাগতিকদের একাদশ নিয়েও।
অন্যদিকে খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় দ্বিতীয় দিনে উইকেট প্রাপ্তির প্রতীক্ষায় থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেট পিয়াসীদের আফসোসটা রয়েই গেল।