বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সিগুলোর বিভিন্ন দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রকৃত হজযাত্রীদের বাদ রেখে তালিকায় রোহিঙ্গা বা সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে যাওয়া লোককে নিবন্ধিত করা হয়েছে। যা মানবপাচারের সম্ভাবনা জাগায়।
তারা আরো বলেন, বিগত কয়েক বছর হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কোনো সংবাদ আমাদের জানা নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৫ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার যৌক্তিক কারণ আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের ধারণা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে।
সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিন দফা সুপারিশ পেশ করা হয়।
প্রথমত নিবন্ধিতদের পাসপোর্টসহ তথ্যাদি একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে ‘রি-চেক’ করার আহ্বান জানান নেতারা। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এবং তৃতীয়ত একই এজেন্সি থেকে বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর সংখ্যা কমিয়ে বাদপড়া এজেন্সিগুলোর জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান তারা।
দাবি মানা না হলে আগামী ১১ জুন ২০ হাজার হজযাত্রীকে নিয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সম্মেলন করার হুমকি দেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হজ্ব এজেন্সি সমূহের আহ্বায়ক মাওলানা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা শফিক উদ্দিন, মাওলানা মেজবাউল্লাহ বাশার।