Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়ে পরা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) ভাইরাসের বিস্তারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনমনে আতংক। এরই প্রেক্ষিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা এই বলে সবাইকে আশ্বস্ত করছেন যে শুধুমাত্র যেসব হাসপাতালে মার্স আক্রান্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন, সেসব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি ও তাঁদের দর্শনার্থীদের মাঝেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে।

ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি টার্মিনাল জীবাণুমুক্ত করছেন কর্মীরা।
ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি টার্মিনাল জীবাণুমুক্ত করছেন কর্মীরা।

ইতোমধ্যে মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি একজন চিকিৎসকের মার্সে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তিনি সিউলের একটি বৃহত্তম সরকারী হাসপাতালে কর্মরত আছেন।এই চিকিৎসা কেন্দ্রেই সংক্রমিত প্রথম চৌদ্দ জনের চিকিৎসা চলছিল।

chardike-ad

সৌদি আরব ফেরত আরও একজন কোরিয়ান নাগরিক মার্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে আলাদা করা হয়েছে। নতুন সংক্রমিত ব্যক্তিসহ সর্বমোট পয়ত্রিশ জন এখন মার্স ভাইরাস বহন করছেন। এছাড়া সন্দেহভাজন প্রায় ১ হাজার ৩ শত ৬৪ জনকে ইতিমধ্যে পৃথক করা হয়েছে।

উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর মার্স আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষণ। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন যে কেউ মার্সে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই মার্সের লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র মাস্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মার্সের লক্ষণ বহনকারীদের প্রতি অন্যদের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে ও জনসমাগম বেশী হয় এমন স্থানে যেতে নিষেধ করছেন। এছাড়া যেহেতু অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ব্যক্তিরা অধিক হারে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাই তাঁদেরকেও আপাতত ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কোরিয়ান হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পার্ক স্যাং কু বলছিলেন, “গুজবে কান না দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করুন। আমি বিশ্বাস করি আমরা মার্স সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।”

 

আরও পড়ুনঃ মার্স ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করণীয়