Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mizanসৌদি আরবে ইয়ামেনের বিদ্রোহী হুতিদের মর্টার হামলায় নিহত কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার ভাতেশ্বর গ্রামের মিজানের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।

১০ সদস্যের পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী মিজানকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। চার মাস আগে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেছিলেন মিজান। কনের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায়। সম্পর্কে খালাতো বোন।

chardike-ad

নিহতের মা জানান, রোজার ঈদে মিজান বাড়ি আসবে। নতুন ঘর তুলবে, স্ত্রীকে ঘরে তুলবে। গত ৪ মে বিকেলে শেষবার এমনই কথা হয়েছিল মায়ের সঙ্গে। পরিবারের সেই আনন্দ স্বপ্ন এখন ভেঙ্গে চুরমার। মিজান চলে গেছে না ফেরার দেশে। শেষবারের মতো ছেলের মুখটি দেখতে সরকারের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা-মা।

জানা গেছে, সৌদি আরব-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী শহর নাজরানায় মিজান কৃষি কাজ করতো। প্রতিদিনের মতো ৫ মে কাজে যাচ্ছিল মিজান। পথে হুতিদের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় মিজানসহ আরো দুই বাংলাদেশি। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে মিজান সবার বড়। তার উপার্জনে চলতো পরিবারটি।

মিজানের বাবা মফিজুল ইসলাম জানান, হার্টের অসুখের কারণে তিনি নিজে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তার ছোট সন্তানেরা এখনো লেখাপড়া করছে। আট বছর বয়সের একটি ছেলে বাক প্রতিবন্ধী। তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে, ছোটোটির বয়স সাত বছর।

তিনি আরো জানান, ভাগ্য পরিবর্তন করতে ২০০৭ সালে তিন লাখ টাকা ঋণ করে সৌদিতে যায় মিজান। কষ্টার্জিত টাকায় যখন ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছিল, ঠিক তখনি মিজানের মৃত্যুতে থমকে গেলো সব কিছু।

সৌজন্যেঃ রাইজিংবিডি