বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের মেঘালয়ের একটি হাসপাতাল থেকে ফোন করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ তথ্য জানান।
হাসিনা আহমেদ বলেন, ভারতের ওই হাসপাতাল থেকে একটি ফোনে বলা হয়, সালাহ উদ্দিন আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে। কল ধরে সালাহ উদ্দিন আমাকে বলেন, আমি ভালো আছি আছি, সুস্থ আছি।
তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী বলেন, ওনার কাছে পৌঁছানোর জন্য দ্রুত চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ রাতে নিখোঁজ হন বিএনপির এই নেতা। তারপর তার স্ত্রীর পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকেও দাবি করা হচ্ছিল- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
তাকে অবিলম্বে ফিরিয়ে না দিলে সরকারকে ‘কঠিন পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে বলে গত ২২ মার্চ এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এদিকে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ স্বামীর খোঁজ চেয়ে হাইকোর্টে গেলে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ ১২ মার্চ একটি রুল জারি করে।
রুলে আদালত জানতে চান, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে কেন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, সরকারকে তা রোববারের মধ্যে জানাতে বলা হয়।
আদালতের ওই আদেশ মেনে পুলিশের পাঁচটি শাখা প্রতিবেদন দেয়। এতে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), র্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বিশেষ শাখা (এসবি) দাবি করে, তাদের কেউ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। তবে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। গত ৯ এপ্রিল শুনানির পর ২০ এপ্রিল রিট নিষ্পত্তির আদেশ দেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ বশিরউল্লাহ জানান, ছয় মাসের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রতিমাসের ১ তারিখে তদন্তের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, পুলিশ যেন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চালায়, এ বিষয়েও আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।