আগেও বহুবার এই শহরের অতিথি হয়েছেন তিনি। প্রসন্নচিত্তে বরাবরই এই ঐতিহ্যবাহী শহরের আতিথ্য গ্রহণ করেন শহীদ আফ্রিদি। ঢাকার মাঠেই এক তরুণী প্লাকার্ডে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন- ‘আফ্রিদি, প্লিজ ম্যারি মী’। সেসব এখন অতীত। আফ্রিদি এখন আর সেই আফ্রিদি নন। পাকিস্তানও এখন আর সেই পাকিস্তান নয়। এবার তাই তার ঢাকায় আসা অনেকটা বিষাদের চাদর গায়ে জড়িয়ে। করাচিতে আগেরদিন টিভিতে দেখেছেন নিজেদের আরেকটি করুণ পরাজয়। বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেয়া আফ্রিদি সোমবার ঢাকা এসেছেন একমাত্র টি ২০ ম্যাচ খেলতে। তিনি টি ২০ অধিনায়ক। তার সঙ্গে এসেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ, পেসার সোহেল তানভির এবং মুক্তার আলী।
টি ২০ ম্যাচ খেলে ফিরে যাবেন। মনে যা-ই থাকুক মুখে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এখন তাদের ক্রিকেটের পরাশক্তি বলাই যায়। বিশ্বকাপে তা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ।’ নিজেদেরর দল সম্পর্কে তার মন্তব্য, ‘আমাদের দলটা তরুণদের নিয়ে গড়া। অভিজ্ঞতায় কিছুটা পিছিয়ে। তাদের সময় দিতে হবে। আমি আশাবাদী।’ পরপর দুটি ওডিআইতে বাংলাদেশের দাপুটে জয়ে তিনি মোটেও অবাক হননি বলে জানান। ‘আমরা যে বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছি, এতে আমি মোটেও অবাক হইনি। কোনো সন্দেহ নেই, সিরিজে সবদিক থেকেই বাংলাদেশ এগিয়ে।’