Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bimanফাস্টফুড: যতই উঁচুতে উঠতে থাকবেন, ততই হজমে একটু এদিক-ওদিক হবে। নিশ্চয়ই জানেন, ফাস্টফুড সহজে হজম হতে চায় না। এ ধরনের খাবার ধৈর্য কমায় এবং ইচ্ছাশক্তি হ্রাস করে— এমনটাই বলছেন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। একই সঙ্গে এ খাবার রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এর মানে, ফাস্টফুড ভ্রমণে ভজঘট পাকিয়ে ফেলতে পারে। আনন্দময় ভ্রমণের জন্য তাই ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।

অ্যালকোহল: অ্যালকোহলকে খাবার হিসেবে গণ্য না করাই ভালো। তবে এর প্রতি আসক্তি থাকলে ভিন্ন কথা। বিয়ার বা ভদকা সাময়িক চাঙ্গা করে তোলে হয়তো, তাড়াতে পারে উঁচুতে উঠার ভয় কিংবা ঘুমের বটিকা হিসেবেও কাজ করতে পারে। তবুও বিমান ভ্রমণে এ পানীয় পরিহার করতে হবে। নতুবা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারেন। এমনিতে বিমানে আর্দ্রতা একটু কম থাকে। এসব কারণে ভ্রমণ দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। মনে রাখবেন, যতই উপরে উঠবেন, ততই অ্যালকোহলের প্রভাব বাড়তে থাকবে।

chardike-ad

চুইংগাম ও ক্যান্ডি: চিনিমুক্ত যেকোনো খাবারই আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তবে চিনিহীন চুইংগাম ও ক্যান্ডি তৈরি হয় কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে। দুর্ভাগ্যবশত এসব সিনথেটিক উপাদান মানবদেহের সঙ্গে খাপ খায় না। এক কথায়, সিনথেটিক খাবার ক্ষতিকর। এগুলো হজমে সমস্যা করে, এসিডিটি বাড়িয়ে দেয়, এমনকি পেটও পাতলা করে। সুতরাং বিমানের কমোডে ঘন ঘন বসতে না চাইলে বর্জন করুন চিনিমুক্ত চুইংগাম, ক্যান্ডি।

চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবার সহজে হজম হয় না। ৩৭ হাজার ফুট উঁচুতে যখন উঠবেন, তখন এসব খাবার খেয়ে হজমজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। এ অজীর্ণতার ফলে রক্তচাপ বেড়েও যেতে পারে। ঘেমে উঠতে পারে পা। শিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। সুতরাং উচ্চমাত্রায় চর্বি রয়েছে, এমন কিছু না খেয়েই বিমানে উঠুন।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই: বিমানবন্দরে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের গন্ধে নিজেকে সামলাতে পারছেন না? তাহলে জেনে রাখুন, এর চর্বি ও তেল আপনার বিমান ভ্রমণ অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে। পেটে গণ্ডগোল তৈরি করতে পারে। বিমান থেকে নেমেই না হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুখে পুরুন।

আপেল: অবাক হওয়ার কিছু নেই। আপেলের আঁশ হজম করতে অনেক সময় নেয়। তাই পেট ভরা ভরা মনে হয়। আঁশসমৃদ্ধ অন্যান্য ফলের বেলায়ও একই কথা বলা চলে। এ কারণে বিমানে উঠার আগে সহজে হজম হয়, এমন খাবার তালিকায় রাখুন। এর পাশাপাশি কমলার জুসও এড়িয়ে চলুন। কেননা এর ভিটামিন ‘সি’ ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাইয়ে দেয়।

শিমজাতীয় খাবার: শিম গ্যাস তৈরি করে। শিম ও শিমের বীজ সহজে হজম হয় না। এ কারণে বিমাণে চড়ার আগে শিম না খাওয়াই ভালো। কেননা এর ফলে পেট ফাঁপাভাব হতে পারে। প্রচুর গ্যাস তৈরি হতে পারে। তাই বিমনে চড়ার আগে শিমের সঙ্গে ব্রুকলি, বাঁধাকপি ও ফুলকপি খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন।

শুকনা মরিচ: ঝালজাতীয় খাবার কিংবা শুকনা মরিচ দিয়ে তৈরি যেকোনো পদ এড়িয়ে চলুন। এসব খাবারে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। মূত্রথলি জ্বালাপোড়া করতে পারে। মুখে জ্বালাপোড়া হতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই উঁচুতে উঠে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চান না? সুতরাং মরিচ মেশানো খাবার বিমান থেকে নামার পরে চোখে দেখুন।

রসুন: রসুন মধুর খাবার। তবে এর গন্ধ শ্বাসপ্রশ্বাসে দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকে। সহজে ছাড়ানো যায় না। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বডি স্প্রে কিংবা পারফিউমের গন্ধও। রসুন খাওয়ার পর যতই দাঁত মাজুন না কেন, গন্ধ যাবে না। অর্থাৎ শরীরের গন্ধের সঙ্গে মুখের গন্ধ মিলে বিশ্রী হয়ে ওঠে চারপাশ। সুতরাং পাশের সঙ্গীর কথা চিন্তা করে বিমানে আরোহণের আগে রসুন এবং রসুন দিয়ে তৈরি খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

পানি, বরফ, কফি, চা: ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বিমানে  চড়ার আগে এবং বিমানে চড়ে চা, কফি, পানি প্রভৃতি অবশ্যই খাবেন। এসব পানীয় না খেলে জার্নি করবেন কীভাবে?