Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kuyet১২ বছরেও শেষ হয়নি কুয়েত ফান্ডের অর্থায়নে নির্মিত তৃতীয় বুড়িগঙ্গা, দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা ও তিস্তা সেতু। প্রকল্পের ঠিকাদার এখনো অর্থ পাবে। কিন্তু কুয়েত ফান্ড জানিয়ে দিয়েছে তারা আর কোনো অর্থ এ প্রকল্পের জন্য ছাড় করবে না। ফলে সরকারকেই এখন নিজের অর্থ থেকে ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করতে হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুয়েত ফান্ডের অর্থায়নে সরকার ঢাকার বসিরায় ৭০৮ মিটার দীর্ঘ শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু), ডেমরায় এক হাজার ৭২ মিটার দীর্ঘ সুলতানা কামাল দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে এক হাজার মিটার দীর্ঘ তিস্তা সেতু নির্মাণকাজ হাতে নেয় ২০০৩ সালের ১ অক্টোবর। সেই সময় ব্যয় ধরা হয় ২৬৫ কোটি দুই লাখ টাকা।

chardike-ad

২০০৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য একনেক থেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে মেয়াদ বাড়ানো হয় তিনবার। তৃতীয় দফায় প্রকল্পটি ২০১২ সালের জুনে শেষ করার সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় আরো দু’বার প্রকল্পের সময় ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই বাড়ানো হয়।

পাঁচ দফা সময় বাড়িয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ৩১৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়। এর মধ্যে কুয়েত ফান্ডের অর্থায়ন হলো ১৯০ কোটি টাকা। এখন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটির মেয়াদ আবার চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলে তা বাড়ানো হয়নি।

প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুনে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রকল্পটির প্রস্তাব না থাকায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপি থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি), ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিতে ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করে।

কিন্তু তা এডিপি ও আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এখন অপরিশোধিত বিল পরিশোধের জন্য আবারো মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবানুযায়ী তিস্তা ব্রিজের ঠিকাদারের বিল এখনো ১৮ কোটি সাত লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে; যার মধ্যে ১৪ কোটি তিন লাখ টাকা হলো প্রাইস কন্টিনজেন্সি খাতে এবং তিন কোটি ৭৪ লাখ টাকা নদীর তীর সংরক্ষণ খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে।

কিন্তু কুয়েত ফান্ড ওই টাকা দিতে অপারগতা জানিয়েছে। ফলে প্রকল্প সাহায্য খাত থেকে ওই অপরিশোধিত বিল পরিশোধের কোনোই সুযোগ নেই। এখন জিওবি থেকে অর্থসংস্থান রেখে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইএমইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিস্তা ব্রিজের অপরিশোধিত বিলের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের দফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যথাসময়ে সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল। অপরিশোধিত বিলের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা উচিত