সংসদীয় রাজনীতিতে মহিলাদের যোগদানের ক্ষেত্রে সেরা: রোয়ান্ডা। রোয়ান্ডার সংসদে ৮০টি আসনের মধ্যে ৪৫টি মহিলাদের দখলে। এটিই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সংসদে মহিলারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্যদিকে ওমান, কাতার, সৌদি আরব, বেলিজের সংসদে একজনও মহিলা সদস্য নেই।
শিশু কন্যা জন্মানোর সেরা স্থান গ্রিস। এ বিষয়ে নিকৃষ্টতম দক্ষিণ সুদান।
পৃথিবীতে মহিলাদের সর্বাধিক গড় আয়ু জাপানে, ৮৭ বছর। মহিলাদের গড় আয়ু সর্বনিম্ন লেসোথোতে, মাত্র ৪৫ বছর।
আমেরিকা পৃথিবীতে সর্বাধিক মহিলা অ্যাথলিট তৈরি করে। আরবের দেশগুলি এবিষয়ে সব থেকে নীচে অবস্থান করছে। সেখানে মেয়েদের এখনও খেলাধুলোয় অংশগ্রহণের অধিকার নেই।
জামাইকাতে উচ্চ আয়ের ৬০% চাকরি মেয়েদের দখলে। সেখানে ইয়েমেনে উচ্চ আয়ের মাত্র ২% চাকরি মেয়েরা করেন।
লেসোথোতে নারী শিক্ষার হার পৃথিবীতে সর্বাধিক। সেদেশে ৯৫% মহিলারাই স্বাক্ষর। ইথিওপিয়াতে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ১৮ জন শিক্ষার আলো দেখতে পায়।
রাজনীতিতে যোগদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন বিষয়ে সামগ্রিকভাবে আইসল্যান্ড মহিলাদের পক্ষে বসবাসের সেরা স্থান দখল করে।
নারীদের ভাবতে শেখানো হয় পুরুষরা উন্নততর। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে ওঠা এদেশের বেশির ভাগ মহিলাদের নিজেদের সামগ্রিক অধিকার সম্পর্কে কোনও ধারণাই তৈরি হয় না।
নাৎসি আক্রমণ হোক বা `৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। দুই দেশ, দুটি জাতি, দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে যে কোনও রকম হানাহানির শেষটুকু হয়েছে মেয়েদের উপর শারীরিক নিগ্রহের মধ্য দিয়েই। এখনও গৃহযুদ্ধে অশান্ত মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের খাতিরে ধর্ষণ করা হয় মেয়েদের।
মহিলাদের ভোটাধিকার নেই আরবের বিভিন্ন দেশে। সমশ্রমে সমবেতনের অধিকার নেই দক্ষিণ কোরিয়ার মত দেশের মেয়েদের। ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত কোটি কোটি মহিলা।
থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের রাস্তায় বাজারি বস্তুর মত ভোগ্য সামগ্রী হিসাবে বিক্রি হয় নারী শরীর। এমনকী, উন্নত ও উন্নয়নশীল পশ্চিমি দেশগুলোতেও সামগ্রিক ভাবে মেয়েদের অবস্থানটা মোটেও অসাধারণ কিছু নয়। এখনও মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রে ধর্ষণের সংখ্যা দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলো থেকে অনেক বেশি।