Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

holy-dayমুসলমানদের দুই ঈদে স্কুল ছুটির ঐতিহাসিক ঘোষণা দিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র ডি ব্লাসিও। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের একটি পাবলিক স্কুলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র ব্লাসিও বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে, স্কুল হলিডে হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন অন্তর্ভুক্ত হবে’।
এ ঘোষণার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়বেন আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি এই স্বীকৃতি দিয়েছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে’।
ঘোষণা অনুসারে এবছর সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। সেই হিসেবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহার দিন নিউইয়র্কের স্কুল ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রথমবারের মতো ঈদ হলিডে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর ঈদুল ফিতরের ছুটি হবে ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালে।
ঈদ হলিডে ঘোষণার সময় সিটি মেয়র ব্লাসিও আরো বলেন, এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয় যে, আমরা আজ বিকাশমান মুসলিম কমিউনিটিকে স্বীকৃতি দিতে পেরেছি এবং নিউ ইয়র্কসিটিতে তাদের অবদানের মর্যাদা দিতে পেরেছি।
এসময় চ্যান্সেলর ফ্রানকা বলেন, নতুন এই ছুটির ঘোষণা শিক্ষনীয় একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। যাতে করে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে এবং সহনশীল হতে উৎসাহিত হবে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে প্রতি আটজন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন মুসলিম। ব্লাসিওর এ ঘোষণায় মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দ নিয়ে এসেছে। কমিউনিটি এক্টিভিস্ট শাহানা মাসুম জানান, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম আর প্রচেষ্টার ফসল এটি। যখন ঘোষণা হচ্ছিল- তখন শুধু কেঁদেছি। আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি। যা হোক অবশেষে মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালক ইমাম শমসের আলী অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, নিউইয়র্কের অধিবাসী হিসেবে আজ আমি গর্বিত। এখানকার পাঁচটি ব্যুরোর স্কুল শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশাসন মানতে গিয়ে এখন আর স্কুল বাদ দিতে হবে না। দুই ঈদের ছুটির অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কামাল ভূইয়া বলেন, প্রায় ১২ বছর আগ থেকে মুসলিম কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন এটি নিয়ে কাজ শুরু করে। সিটি মেয়র ব্লমবার্গের সময় এটি ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও তা হতে দেয়া হয়নি। অবশেষে মেয়র ব্লাসিও নির্বাচনকালে যে কথা দিয়েছিলেন তা রেখেছেন। এজন্য মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ।

এদিকে, শুধু নিউইয়র্ক সিটিতে নয়, পুরো নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে দুই ঈদের ছুটি নিশ্চিত করা, স্কুলে বাচ্চাদের হালাল খাবার পরিবেশন করা এবং চাকরির ক্ষেত্রে ধর্মীয় পোষাকে বিধিনিষেধ মুক্ত করতে মঙ্গলবার নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বলি ও সিনেটে চারটি বিল উপস্থাপনে সচেষ্ট হয়েছে বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। এজন্য দিনভর প্রায় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ বিলের গুরুত্ব তুলে ধরে বিলগুলোতে তাদের সমর্থন কামনা করা হয়।
পরে এ বিলগুলো অ্যাসেম্বলিতে উপস্থাপন করেন অ্যাসেম্বলিম্যান মাইকেল মিলাব। সাথে সাথে আরো তিনজন অ্যাসেম্বলিম্যান বিলগুলো সমর্থন করেন। পরে নিউইয়র্ক সিনেটেও বিলগুলো নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান সিনেটর হুজে পেরেল্টা। ওই দিন বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সম্মান জানিয়ে সিনেটে কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেয়া হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন বাংলাদেশী ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন।

chardike-ad