দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম বৃহত্তম শহর এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র খোয়াংজুয়ে শেষ হলো বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা। কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে) গত শনিবার এবং রবিবার দুইদিনব্যাপী অষ্টমবারের মত এই আয়োজন করে। গত শনিবার শুরু হওয়া এই ‘শীতকালীন মিলনমেলা’ ২০১৫ এ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাংলাদেশি ছাত্রদের অভুতপূর্ব এক মেলায় পরিণত হয়। মিলনমেলায় বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, এবং কোরিয়ান গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, গবেষণার ব্যস্ততার মাঝে প্রতি সেমিস্টারে একবার দুই দিনের জন্য বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় করে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে)। দেশী খাবার, নতুনদের বরণ, ডিগ্রীপ্রাপ্তদের সম্মাননা, ইবুক উন্মেচন, ডকুমেন্টরী প্রদর্শন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় হওয়ার অসাধারণ একটা সুযোগ এই মিলনমেলা।
আতিকুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলেদেশ দূতাবাসের মাননীয় কনসুলার এবং সি.ডি.এ. খন্দকার মাসুদুল আলম, ফার্স্ট সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানা, এমেরিটাস অধ্যাপক শিন গোয়াংগু, অধ্যাপক ও জে ইল, সেও ইল গেওন মোঃ গোলাম হাফিজ শওকত, আব্দুর রহিম, আব্দুর রাকিব, মোঃ মনিরুল ইসলাম, ইকবাল মাহমুদ চঞ্চল, সরদার আমানুল্লাহ আমান, আহসান উল্লাহ, মোহাম্মাদ আল-আমিন।
উল্লেখ্য, দঃ কোরিয়ায় বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের একটি একক প্লাটফর্মের অভাব পূরণ করেছে বিএসএকে। প্রতি সেমিস্টারে একবার গেট টুগেদার ছাড়াও ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করে সংগঠনটি। এছাড়া প্রতি সেমিস্টারে কোরিয়ায় অধ্যয়নত এবং এলামনাইদের লেখা দিয়ে ‘মলাটবদ্ধ কালধ্বনি’ নামক একটি ই-বুকও প্রকাশ করা হয়ে থাকে।