যারা পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা প্রকৃত মুসলমান কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক সুফি সম্মেলন-২০১৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সংশয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দেশে চলমান সহিংসতাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, “সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। যারা ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, তারা ইসলামের বদনাম করছে।”
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, “পুড়িয়ে মারার মতো যন্ত্রণা মানুষ মানুষকে কীভাবে দেয়? যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তারা কীভাবে মানুষ মারে? দেশে এখন যে তাণ্ডব হচ্ছে, পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারছে, আতঙ্ক সৃষ্টি করছে- এরা কি প্রকৃত মুসলমান?” রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে সৃষ্টিকর্তা তাদের ‘সুমতি’ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করার জন্য মাশায়েখ ও আলেমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে আলেম-মাশায়েখরা এসেছেন। আপনাদের কাছে আমি এই বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম।”
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চুরির টাকা রক্ষা করতেই মানুষ পুড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছেন। উনি (খালেদা) বিচারের সম্মুখীন হতে ভয় পান।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ভারতের রাজস্থানের আজমীরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহর সভাপতি ওয়াহিদ হোসেন চিশতি, দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহের সভাপতি সৈয়দ নজিব আল নিজামী, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তৈয়বুর বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নতুনবার্তা।