বিশ্বকাপ ক্রিকেট উন্মাদনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। সেই উন্মাদনার ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশেও। অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজল্যান্ডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলেও এতে অংশ নেয়া সব দেশেই উত্তাপ বইছিল অনেক আগ থেকেই। ফলে খেলা শুরুর পর দেশের লাখো ক্রিকেট প্রেমী এখন বিশ্বকাপ নিয়ে বিভোর।
অপরদিকে, ক্রিকেট উত্তাপের ৪০ দিন আগে থেকেই দেশে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনিদির্ষ্টকালের অবরোধ। চলমান অবরোধের পাশাপাশি জোটটি ইতিমধ্যে অসহযোগ আন্দোলন ও সর্বাত্মক হরতাল দেয়ার হুমকি দিয়েছে। তবে দেশের লাখো ভক্তের নজর এখন বিশ্বকাপের দিকে থাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের আন্দোলনে ভাটা পড়ার আশঙ্খা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্বকাপের উন্মাদনায় দেশের বেশিরভাগ মানুষের নজর থাকবে অস্ট্রিলয়া ও নিউজল্যান্ডে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আফগানিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলায় টাইগাররা জয়লাভ করলে পরিস্থিতির আরও পরিবর্তন আসবে। তখন দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশ পরবর্তী ম্যাচ ভাল করুক। ছিনিয়ে আনুক বিজয় ট্রফি।
তরিকুল ইসলাম নামে এখন ক্রিকেট প্রেমী জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন সমীকরণ মেলাতেই এখন ব্যস্ত রয়েছে গোটা দেশের মানুষ। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু বিশ্বকাপের টাইগারদের পারফর্ম।
এদিকে বিশ্বকাপ উন্মাদনার কারণে বিএনপির চলমান আন্দোলন অনেকটাই বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছে আরেকটি সূত্র। সূত্রটি জানায়, পুলিশের বাধার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনভাবেই রাজপথে দাঁড়াতে না পেরে গোপনে যানবাহনের উপর হামলা করছে। আবার বিএনপির যেসব নেতা আত্মগোপনে থেকে টেলিভিশনে খবর দেখে সময় পার করেছেন তারা এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আমেজ উপভোগ করবেন। ফলে বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভাটা পড়বে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ খেলা পাগল এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আমেজ সবার মাঝে বিরাজ করাটাই স্বাভাবিক। তবে আন্দোলনটা ভিন্ন বিষয়। রাজধানীতে আন্দোলন জোরালো না হলেও ঢাকার বাহিরে বিএনপি ভাল আন্দোলন করছে বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব:) মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গোটা দেশের মানুষ ক্রিকেটের সঙ্গে রয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের সংকট চলছে। এ সংকট সমাধানে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এ কারণেই ২০ দলের চলমান কর্মসূচিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।