jiangsuinchina_88291আপত্তিকর কন্টেন্ট আপলোড এবং অনুমতি না নিয়ে রাজনৈতিক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে ৫০টি ওয়েবসাইটের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে চীন। গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ের অনলাইন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সংস্থার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সাইটগুলো বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর রয়টার্স।

চীনে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা রয়েছে। এছাড়া অপ্রত্যাশিত উপাদান অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলতে বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজ করে আসছে চীন সরকার। এর পরও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অনলাইনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও এসব ওয়েবসাইটে আপত্তিকর কন্টেন্ট আপলোড এবং রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের কারণে তা বন্ধ করা হয়েছে বলে দেশটির অনলাইন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে।

chardike-ad

সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়নার (সিএসি) বিবৃতি অনুযায়ী, মোবাইল সামাজিক মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট থেকে ১৭টি পাবলিক পেজসহ ২৪টি ওয়েবসাইট ও নয়টি চ্যানেল বা নিয়মিত কলাম প্রকাশ করে আসছে, এমন ওয়েবসাইটের সেবা বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, দুই মাস ধরে উইচ্যাট থেকে অ্যাকাউন্ট বন্ধে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতারণামূলক ভুয়া তথ্য প্রকাশ করায় আরো বেশকিছু সাইটের তালিকা করেছেন সিএসির কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোও যে কোনো সময় বন্ধ করা হতে পারে বলে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এ বিষয়ে চীনের সাইবারস্পেস ওয়াচডগের এক মুখপাত্র জানান, সিএসি নিয়মিত অনলাইন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে থাকে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কার্যক্রম অনলাইন নীতিমালা ভঙ্গ করছে কিনা, তার ভিত্তিতে ‘কালো তালিকা’ প্রকাশ করে থাকে তারা।

২০১৪ সালের শুরুর দিকে সাইবারস্পেস ওয়াচডগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ থেকে মোট ১৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছিল। ১৪০ কোটি জনগোষ্ঠীর দেশ চীনের ৬৩ কোটি ২০ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রযুক্তি খাতের জন্য দেশটির বাজার গুরুত্বপূর্ণ একটি। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানই চীনের বাজার হারাতে চায় না। দেশটির বাজারে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, ইয়াহুসহ মার্কিন একাধিক প্রতিষ্ঠানের সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। বণিকবার্তা।