স্রেফ মজা করেই ৪১ জনকে হত্যা করেছেন স্যালিসন জোসে দাস গ্রেকাস নামের এক যুবক। বুধবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কাছে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন গ্রাকাস।
শুক্রবার এনডিটিভি, এইজ ওয়ার্ল্ডসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে ঠাণ্ডা মাথার এই খুনি নির্বিকারভাবে বর্ণনা করেছেন তার খুনখারাবির বৃত্তান্ত। পুলিশের সঙ্গে গ্রাকাসের কথোপকথন সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ব্রাজিলের গ্লবো টিভিতে।
গ্রাকাস পুলিশকে জানান, ১৭ বছর বয়সে প্রথম খুন করে বেশ ‘মজা’ পান তিনি। তারপর থেকে তিনি খুন করতেই থাকেন। ১০ বছরে ৪১ জন মানুষকে হত্যা করেছেন তিনি। এদের মধ্যে ৩৭ জন নারী, তিনজন পুরুষ, আছে দুই বছর বয়সী একটি শিশুও।
ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের নোভা ইগাসুর পুলিশ কমিশনার পেদ্রো হেনরিক মেদিনা বলেন, গ্রাকাস একজন ঠাণ্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার। শ্বাসরোধ করে খুন করতেন তিনি। তবে টাকার জন্যও তিনি কয়েকটি খুন করেছেন। সেগুলোতে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। খুনের আগে সে টার্গেটের আঙুল কেটে নিত, যেন ধস্তাধস্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট না থাকে।
গ্রাকাস নিজের খুনের কৌশল বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘টার্গেটকে অনুসরণ করতাম। তার আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টা করতাম। এজন্য এক সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হতো। পরে পরিস্থিতি বুঝে খুন করে ফেলতাম।’
৪১ জন মানুষকে হত্যা করেও কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই গ্রাকাসের। পুলিশকে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘১০, ১৫ বা ২০ বছর কারাদণ্ড হলেও জেল থেকে বেরিয়ে তিনি আবার খুন করবেন।’