গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে, দেশের নাগরিকদের হতে হবে শক্তিশালী মানুষ। যেন তারা যুদ্ধসহ রাষ্ট্রের নানা কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই যেসব শিশু দুর্বল, যারা বড় হয়ে রাষ্ট্রের উপকারে আসবে না, জন্মের পরপরই তাদের হত্যা করাই শ্রেয়।
প্লেটোর দেখানো দর্শনেই যেন আধুনিক যুগে হাঁটছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে শারীরিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে দৃষ্টির আড়াল করতে কৌশলে হত্যা করা হচ্ছে। আর এটি করতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এমনকি বংশবিস্তার রোধে তাদের খোজা করে (জননেন্দ্রীয় কেটে) দেওয়া হচ্ছে। এ এক অমানবিক, ভয়াবহ নির্যাতন।
এসব নির্যাতনের শিকার দেশটির এক বামন বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দি ডেইলি মেইলকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জি সিয়ং হো (৩২) নামের ওই বামন উত্তর কোরিয়ায় এমন ভয়ানক নির্যাতনে এক হাত ও এক পা হারিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি নির্যাতন থেকে পালিয়ে দেশ ছাড়তে সমর্থ হন। তিনি জানান, কিম জং উনের সরকার নাকি তাদের জন্য ‘অপমানিত’ বোধ করে।
জি সিয়ং দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ায় মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতাল থেকে ছিনিয়ে নেয় সরকারের বাহিনী এবং তারপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদেরকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়।
জি সিয়ং উত্তর কোরিয়ায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে নির্যাতনের ওপর একটি গবেষণামূলক বই লিখছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া সরকারের নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা আরো দুই বামনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছে, শহর থেকে দূরবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে বামনদের জন্য একটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কেমন বামনরাই থাকবে এবং তারা সেই স্থান কখনো ত্যাগ করতে পারবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বামনদের জননেন্দ্রীয় কেটে নেওয়া হয়, যেন তারা আর বংশবিস্তার করতে না পারে।’
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন