Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

muslim_online_dating

ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোয় বেড়ে ওঠা এশীয়-বংশোদ্ভূত মুসলিমদের মধ্যে অনলাইন ডেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

chardike-ad

দেশগুলোতে বসবাসরত তরুণ মুসলিমরা মনে করছেন, অনলাইন ডেটিং তাদেরকে চাপমুক্তভাবে পরিচয় এবং বিয়ের সুযোগ খুলে দিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, এমন একটি সাইট সিঙ্গলমুসলিম ডট কম। আদিম ইউনিস নামের একজন যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারের ওয়েকফিল্ডে একটা ফাস্ট ফুড দোকানের ওপর তলায় ছোট্ট অফিস এর গোড়াপত্তন করেন।

এখন তার সদস্য সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। প্রতিদিন এখানে গড়ে প্রায় চারটি করে বিয়ের ঘটকালি হচ্ছে।

গত এক-দেড় দশকে এমন বহু মুসলিম ঘটকালি বা ম্যাচ-মেকিং ওয়েবসাইট পশ্চিমা দেশগুলোতে জপ্রিয়তা পেয়েছে।

মুসলিম ম্যাট্রিমনি ডট কম, হিপস্টাশাদী ডট কম- ইত্যাদি নানা নামের বহু ওয়েবসাইটের সন্ধান এখন মিলবে ইন্টারনেটে।

অনেক তরুণ-তরুণীই বিয়েকে একটা বিরাট মানসিক চাপের বিষয় হিসেবে দেখেন। তাদের কাছে ‘অনলাইন ম্যাচমেকিং’ যোগাযোগের জানালা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

এখানে ধর্মবিশ্বাস, ভাষা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নানা রকম ভিত্তিতে বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রী খুঁজে নেবার সুযোগ আছে।

অবশ্য মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশে অনলাইন ডেটিংকে সবাই ভালো চোখে দেখেন না।

তারা মনে করেন, অনলাইনের জগৎ মিথ্যায় ভরা এবং বিয়ে পারিবারিক যোগাযোগের মধ্যে দিয়েই হওয়া উচিত।

কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোয় মুসলিমদের মধ্যে অনলাইন ডেটিং বা ম্যাচমেকিং সাইট ক্রমশই আরো বেশি করে জনপ্রিয় হচ্ছে।

এমনই একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ। অনলাইনে পরিচয়ের পর ক্যাথরিনকে বিয়ে করেছেন তিনি। তাদের এখন দুটি সন্তান।

মোহাম্মদের মতে, ধর্মভীরু মুসলিমরা ক্লাব বা পাবে যান না, তাই পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরে যোগাযোগের সুযোগ সীমিত।

তিনি বিবিসিকে জানান, অনলাইনে প্রথম পরিচয়ের তিন চার মাসের মধ্যেই তিনি এবং ক্যাথরিন বিয়ে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই ক্যাথরিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

আদিম ইউনিস তার সিঙ্গলমুসলিম ডট কম সাইট চালু করেছিলেন ২০০০ সালে। এখন এটা তার পুরোদস্তুর পেশায় পরিণত হয়েছে – যা শুরুতে তার কল্পনার অতীত ছিল।