‘‘তুর্কি বংশোদ্ভূত ২৩ বছরের এক সাহসী নারীর মৃত্যুতে মুসলিম সম্প্রদায়সহ শোকাহত জার্মানির মানুষ৷ তারা সবাই তাকে জার্মানির সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব দেয়ার দাবি জানিয়েছে৷”
নিহত তরুণীর নাম টুচে৷ ১৫ নভেম্বরে ফ্রাংকফুর্টের কাছে একটি এলাকার ম্যাকডোনাল্ড রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তিনি৷ হঠাৎ বাথরুম থেকে চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে সেখানে গিয়ে টুচে দেখেন একদল তরুণ দুই স্কুল ছাত্রীকে হয়রানি করছে৷সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি৷
এর কিছুক্ষণ পরই রেস্টুরেন্টের বাইরে এক তরুণ টুচের মাথায় জোরে আঘাত করেন৷ এতে টুচে নীচে পড়ে পান৷ সেই থেকে তিনি হাসপাতালে কোমায় ছিলেন৷ দুই সপ্তাহ পর গত শুক্রবার মারা যান টুচে।
ওয়েচতেসবাখের একটি মসজিদে টুচের শেষকৃত্য হয়েছে বুধবার। এতে অংশ নেন হেসেনের রাজ্য প্রধানমন্ত্রী ভলকা বুফিয়া। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতেরও এতে অংশ নেয়ার কথা ছিল।
টুচেকে সমাহিত করতে নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামে যেখানে তিনি জন্মেছিলেন। বখাটে তরুণদের রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়ে জার্মানির জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেছেন টুচে।
“তার সাহসিকতার জন্যই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন”, এমইন মন্তব্য করেছেন তার শেষকৃত্যে যোগ দেয়া একজন।
টুচের মাথায় আঘাত করার ভিডিও গত সোমবার প্রকাশ করেছে জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বিল্ড৷ ঐ এলাকায় থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে ভিডিওটি সংগ্রহ করে বিল্ড৷