Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bd-cricket-team

টেস্ট সিরিজে ৩-০ তে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ করার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন করে এনেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুরে সিরিজের ৪র্থ ম্যাচে সফরকারীদের ২১ রানে হারিয়ে বাংলাওয়াশের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল টাইগাররা।

chardike-ad

বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তুলতে সমর্থ হয় সফরকারীরা।

শুরুটা অবশ্য দারুণভাবেই হয়েছিল। সিবান্দা-মাসাকাদজার উদ্বোধনী জুটিতেই উঠে ৪৮ রান। সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন আপে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১১তম ওভারে ভুসি সিবান্দাকে এলবির ফাঁদে ফেলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলের মোকাবেলায় ৩ চারে ১৭ রান করেন এই ডানহাতি ওপেনার।

১২তম ওভারে বল করতে এসে আবারও আঘাত হানেন সাকিব। এবার তার শিকার আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসকাদজা। দারুণ এক ডেলিভারিতে মাসাকাদজাকে (২৮) সরাসরি বোল্ড করেন তিনি।

১৭তম ওভারে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শিবিরে ৩য় আঘাতটি হানেন অভিষিক্ত জুবায়ের। ওয়ানডে অভিষেকের ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে মারুমাকে (৬) বোল্ড করেন এই লেগ স্পিনার। সফরকারীদের রান তখন ৬০।

৪র্থ উইকেট জুটিতে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান ব্রেন্ডন টেলর ও সুলেমন মিরে। দুজনের মিলিত ১০৬ রান সফরকারীদের সিরিজে প্রথমবারের মতো জয়ের আশা জাগায়। অবশ্য দলীয় ১৬৬ রানের মাথায় মিরেকে আউট করে ম্যাচে স্বাগতিকদের দারুণভাবে ফিরিয়ে আনেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ বলে ৫২ রান করেন মিরে।

অপরপ্রান্তে থাকা টেলর তখনও জয়ের দিকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন।তবে টেলরকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচের লাগাম আবারও নিজেদের হাতে নেন রুবেল হোসন। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দেন টেলর।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা।

স্বাগতিকদের পক্ষে সাকিব, জুবায়ের ও রুবেল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। অধিনায়ক মাশরাফি পেয়েছেন ১ উইকেট।

এর আগে দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। তবে ৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় মাশরাফি বাহিনী। বিপর্যয়ের শুরু ওপেনার এনামুল হককে দিয়ে। ইনিংসের ৪র্থ ওভারের শেষ বলে মাদভিজার পরিষ্কার এলবিডব্লিউর শিকার হন এনামুল। আউট হওয়ার আগে ১২ বল খেলে ৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। দলের রান তখন ১৪।

ইনিংসের ১০ থেকে ১২ এই ৩ ওভারে ১ রানের ব্যবধানে যথাক্রমে তামিম, ইমরুল ও সাকিবের উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা রীতিমতো ধুঁকতে থাকে।

৫ম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১৬৬ রানে মুশফিক (৭৭) বিদায় নিলে আবারও দিশা হারায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন আপ। মুশফিক ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাব্বির রহমান ও আবুল হাসান। সাব্বির ৪ ও হাসান ১ রান করে আউট হন। তাদের দ্রুত ফিরে যাওয়ায় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ১৭৭/৭।

তবে মাহমদুল্লাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও শেষদিকে অধিনায়ক মাশরিফর ২ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ২৫ বলে করা ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে।

সিরিজের শেষ ম্যাচ ১ ডিসেম্বর। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।