দুগ্ধবাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত কোমলপানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা। নিজস্ব ব্র্যান্ডের দুধ বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে কোম্পানিটি। তাদের প্রত্যাশা, দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি প্রচুর আয়ও করবে নতুন পণ্যটি। খবর গার্ডিয়ান।
নতুন এ পণ্যের নাম রাখা হয়েছে ফেয়ারলাইফ। কোকাকোলার পণ্য হওয়ায় অনেকে এটিকে ‘মিল্কা-কোলা’ নামেও অভিহিত করছেন। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ, কম চিনি ও ল্যাকটোজবিহীন এ দুধ আগামী মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। দোকানে পাওয়া সাধারণ দুধের তুলনায় এ দুধে ৫০ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং ৩০ শতাংশ কম চিনি থাকবে। তবে দাম হবে দ্বিগুণ।
কোকের গ্লোবাল চিফ কাস্টমার অফিসার স্যান্ডি ডগলাস বলেন, ‘ফেয়ারলাইফ একটি দারুণ পণ্য এবং এর স্বাদও দারুণ। আমরা সাধারণত যেসব দুধ কিনি, তার তুলনায় এর দাম দ্বিগুণ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দুধের ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার জন্য বেশকিছু সময় ধরে এতে বিনিয়োগ করব। তাই প্রথম কয়েক বছর এর আয়ে শ্লথগতি থাকবে। তবে আমাদের ফ্রুট জুস সিমপ্লির মতো যখন এটি গতি পাবে, তখন বিপুল পরিমাণে অর্থ আসা শুরু করবে।’
ডগলাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুগ্ধ কৃষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফেয়ারলাইফ আনা হচ্ছে। একটি বিশেষ ফিল্টারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ দুধ উৎপাদন করা হবে।
কোকাকোলা এমন সময় দুগ্ধজাত বাজারে প্রবেশ করল, যখন এতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। ২০০৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দুধের দাম বাড়তির দিকে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ দুধের বিক্রি কমছে এবং অন্যদিকে বিভিন্ন ফ্লেভার ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ দুধের আয় বাড়ছে।
গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে দুধ বিক্রি ৮ শতাংশ কমেছে। বাণিজ্যভিত্তিক পত্রিকা ডেইরি টুডের তথ্যানুসারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দুধ পান করে না। বণিকবার্তা।