পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কি না- এ বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ফেসবুকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের খবর প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর তার আগেরদিনই ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে পাওয়া যায়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কি না- এ বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজি প্রেসের ওপরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ওই সভা হয়।
সভায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আইনগতভাবে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার যদি কেউ এই পথে হাঁটে, হাত দেয়, তাহলে সেই হাত পুড়ে যাবে।
তিনি জানান, এই পরীক্ষা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ অন্যান্য সার্বিক বিষয় দেখভালের জন্য ২৫ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
এসময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে মিথ্যা প্রচার ও রটনা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার কোচিং সেন্টারগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ফেসবুকেও পাওয়া যাচ্ছে প্রাথমিকের প্রশ্ন!