Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

banglatelegraph২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে বর্তমানে বিদ্যমান পেশাগুলোর অর্ধেকই থাকবে না। তার মানে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ওই পেশাজীবীদের কাজকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করা হবে।

‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড ২০৩০: দ্য ফিউচার অব ওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য ওয়ার্কপ্লেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্যিক আবাসনপ্রতিষ্ঠান সিবিআরই ও চীনভিত্তিক ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান জেনেসিস এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদন তৈরিতে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ২২০ জন বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী নেতা ও তরুণের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

chardike-ad

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেশিন কিংবা সফটওয়্যার দিয়ে বুদ্ধিমত্তার যে কাজগুলো করা হয়, সামনের বছরগুলোতে সেগুলো ভিন্ন ধরনের কাজে পরিণত হবে। প্রক্রিয়ার কাজ, গ্রাহকের কাজ এবং মাঝামাঝি পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার কাজগুলো এককথায় উধাও হয়ে যাবে। নতুন করে সৃষ্টি হওয়া কাজগুলোতে সৃজনশীল বুদ্ধিমত্তা, সামাজিক ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হবে। ওই কাজগুলো হবে আজকের দিনে বিদ্যমান কাজগুলোর চেয়ে অনেক বেশি পূর্ণাঙ্গ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমরা কীভাবে কাজ করব, সে ব্যাপারে আগামী ১৫ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। প্রয়োজন থাকবে না বলে কর্মস্থলে ডেস্কের সারি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাবে। তাই আমরা কীভাবে কাজের পরিকল্পনা করব এবং আমাদের কর্মস্থল কেমন হবে, সে বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
সিবিআরইর দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অংশুমান ম্যাগাজিন বলেন, ভবিষ্যতের সেই সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। চৌকস প্রতিষ্ঠানগুলো সেসব সুযোগ লুফে নিয়ে প্রতিযোগিতার এই বাজারে সুবিধা করে নিতে পারবে।

২০৩০ সালের মধ্যে আবাসন খাতের মূল লেনদেনটাই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। সিবিআরইর ওয়ার্কপ্লেস স্ট্র্যাটেজির এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক পিটার অ্যান্ড্রু বলেন, আসলে নাটকীয় পরিবর্তন আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে শিখতে হবে, কর্মীদের কাছ থেকে কীভাবে সবচেয়ে ভালো কাজ আদায় করা যায়।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।