Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

taijul1টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন তার দখলে।

ছিপছিপে গড়নের তাইজুল পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়ে এতদিন রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

chardike-ad

এদিকে, তাইজুলের কীর্তি শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসেও নিজের নাম খোদাই করে নিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের তালিকায় তার অবস্থান ৩০তম।

তাইজুলের ইতিহাস গড়ার দিনে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ভুসিমুজি সিবান্দাকে সাজঘরে ফিরিয়ে। এরপর তিনি একে একে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, এলটন চিগুম্বুরা, ক্রেইগ এরভিন, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, টেন্ডাই চাতারা ও তাফাজওয়া কামুঙ্গোজিকে।

বলতে গেলে জিম্বাবুয়েকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের ঝুলিতে জমা পড়ে মাত্র ১১৪ রান! অসাধারণ বোলিং। দুর্দান্ত তাইজুল ইসলাম।

এর আগে অভিষেক টেস্টেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যখন বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করছিলেন, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন তাইজুল। ৪৭ ওভার বল করে ১৩৫ রান খরচায় ৫টি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এর মধ্যে ৯টি মেডেন ওভারও ছিল। ইকোনোমি রেট ছিল ২.৮৭।

তাইজুল অভিষেক টেস্টেই ছুঁয়েছিলেন একটি মাইলফলক। ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশি বোলারদের তালিকায় নিজের নামও যুক্ত করেন তাইজুল। এর আগে এই তালিকায় নাম লেখান নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানজারুল ইসলাম রানা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইলিয়াস সানি ও সোহাগ গাজী।

তাইজুলের অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট অবশ্য ভেস্তে যায়। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০ উইকেটে