Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঈদের রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে খুন হয়েছে এক অটোরিকশা চালক। পরদিন কসবায় ছোট জা’র দায়ের কোপে আরেক জা নিহত হয়েছে। আর দুদিন পর গতকাল সদর উপজেলায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৪০ জন। গত সোমবার ঈদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের টি.এ রোড মঠের গোড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা জালাল মিয়া (২৬) নামের অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাত করে। এরপর জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জালাল শহরের মধ্যপাড়ার মনির মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, অটোরিকশা চালক মনির মঠের গোড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে চটপটি খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ/ছয় দুর্বৃত্ত এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। imagesপরদিন মঙ্গলবার রাতে কসবা উপজেলার শিকারপুর গ্রামে ছোট জা-এর দায়ের কোপে পাঁচ সন্তানের জননী ফায়েজা বেগম (৪৫) নামে বড় জা নিহত হয়েছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ছোট জা বানু বেগমকে আটক করে পুলিশ। নিহত ফায়েজা বেগম শিকারপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ কামাল জানান, বাচ্চাদের বচসা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবুল মিয়ার ছোট ভাই আলী মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম তার বড় জা ফায়েজাকে গলায় দা দিয়ে কোপ দেয়। কোপের আঘাতে তার গলার একাংশ কেটে যায়। তাৎক্ষণিক প্রতিবেশীরা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এদিকে গতকাল সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর ও হাবলাউচ্চ গ্রামের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাবলাউচ্চ গ্রামের শেখ মহসীন ও শিলাউর গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল খায়েরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে বিগত এক বছরে দুটি পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহতসহ শতাধিক লোক আহত হয়। বুধবার দুপুরে এই বিরোধের জের ধরেই দুই পক্ষ আবারও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শহিদুল্লাহ, জোবাইদ, শাহ আলম, মোজাম্মেল, আল আমিন, জয়নাল আবেদীন, আনার মিয়া, কাশেম আলী, জসীম মিয়া, সুলতান হোসেন, বাছির মিয়া ও বসু মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা গ্রেপ্তার এড়াতে জেলা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, সংঘর্ষ থামাতে ৫/৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। সংঘর্ষস্থল থেকে উভয়পক্ষের ১৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃতদের সিআরপিসি’র ৫১ ধারায় তাৎক্ষণিক সাজা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।