এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন ফ্রান্সের লেখক প্যাট্রিক মোদিয়ানো। বৃহস্পতিবার সুইডেনের স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পুরস্কার ঘোষণা করে সুইডিশ একাডেমি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্মৃতিচারণামূলক সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানবজীবনের সবচেয়ে অবিচলিত ভবিতব্যকে তুলে আনা এবং মানুষের নৈমিক্তিক জীবনে দখলি সত্তার নানা দিক উন্মোচনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রথা অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্যাট্রিক মোদিয়ানোর হাতে পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ ডলার) তুলে দেয়া হবে।
১৯৪৫ সালের ৩০ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের শহরতলীতে প্যাট্রিক মোদিয়ানোর জন্ম। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী, মা অভিনেত্রী। স্কুলের জ্যামিতির এক শিক্ষক রেমন্ড কুইনিয়াউ তাকে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারই অনুপ্রেরণায় ১৯৬৮ সালে প্রথম উপন্যাস লেখেন মোদিয়ানো। উপন্যাসটির নাম ‘লা প্লেস দ্য এল’এটোলি’।
মোদিয়ানার বেশির ভাগ লেখার প্লট রাজধানী প্যারিসকে ঘিরে। তার গল্প-উপন্যাস মূলত আত্মজৈবনিক, যেখানে নিজের স্মৃতি তুলে ধরেছেন মোদিয়ানো। কিংবা জার্মান অধিগ্রহণের পর প্যারিসের জীবনছবি সম্পর্কে সম্যক ধারণা মিলবে তার লেখনীতে।
স্প্যানিশ, সুইডিশ ও জার্মান ভাষায় মোদিয়ানোর সাহিত্যকর্ম অনূদিত হয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও, ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে তার উপন্যাস। যেমন, ১৯৭২ সালে মাতৃভাষায় প্রকাশিত হওয়ার দুই বছর পর ইংরেজিতে প্রকাশিত হয় ‘রিং রোডস: আ নোভেল’। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় ‘হানিমুন’ (মূল : ভয়েজ ডি নোসেস, ১৯৯০)।
উপন্যাস ছাড়াও শিশুতোষ বই লিখেছেন মোদিয়ানো। লিখেছেন সিনেমার স্ক্রিপ্টও। চিত্রপরিচালক লুইস ম্যালের সঙ্গে তৈরি করেন চলচ্চিত্র ‘ল্যাকোম্বে লুসিয়েন’ (১৯৭৪)।