হোটেল রুম, বিউটি পার্লার, পাবলিক টয়লেট কিংবা শপিং মলের চেঞ্জিং রুম- অসতর্ক থাকলে যেকোনো সময়ই আপনি হতে পারেন গোপন ক্যামেরার শিকার। পোশাকি নাম হিডেন ক্যামেরা। তবে একটু সতর্ক থাকলে খুব সহজেই এর নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। খুব সহজে খুঁজে নেওয়া যায়, ঘরের কোনো কোণায় গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব আছে কি না।
এর জন্য আপনার লাগবে একটা মোবাইল ফোন (অ্যাক্টিভেটেড) যেখান থেকে ফোন করা যাবে। এবার ধরুন ট্রায়াল রুমে ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল করুন। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ওই ঘরে ক্যামেরা নেই। আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়-তাহলে অবধারিতভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।
গোপন ক্যামেরার সাথে এক ধরনের ফাইবার অপটিক্যাল কেবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক সেখানে কাজ করে না। এভাবেই আপনি গোপন ক্যামেরা থেকে বাঁচতে পারবেন।
শপিংমলের ট্রায়াল রুমে যে আয়না থাকে সেটাও আসল না-ও হতে পারে, এটিও গোপন ক্যামেরার মতোই মারাত্মক! প্রযুক্তির অপব্যবহারে আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না বা ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস। এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্যপাশ থেকেও কেউ আপনাকে দেখছে। অথবা আয়নার উল্টোদিকে রয়েছে কোনো অত্যাধুনিক ক্যামেরা। কী করে বুঝবেন গ্লাসটি আসল না নকল?
খুব সহজ, আপনার আঙুল আয়নার উপর রাখুন। যদি আপনার আঙুলের মাথার প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে (মাঝে যদি ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়নাটি সাধারণ বা আসল। আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল। সেটি আসল আয়না নয়। আদতে একটি ‘ফলস গ্লাস’।
এ ছাড়া যাঁরা অ্যান্ডরয়েড কিংবা আইফোন অপেরেটিং সিস্টেমের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন, তাদের পক্ষে সবচেয়ে সহজ হবে গোপন ক্যামেরা শনাক্তকরণ ‘অ্যাপস’ ইনস্টল করে নিন। সে ক্ষেত্রে অ্যাপসটিই আপনাকে জানিয়ে দেবে, ঘরে কোনো লুকোনো ক্যামেরা আছে কি না।