দেশকে কেউ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের কাউকে ছাড় দেবে না সরকার। প্রয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের যৌথসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলে সভা শেষে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
সূত্র জানায়, সভায় আগামী সোমবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশ স্থিতিশীল রয়েছে। তারা আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এ কারণেই বিএনপি হরতাল দিয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক না কেন, যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীসের রাজনীতি করেন। কোরবানির ঈদের আগে এভাবে হরতাল ডাকলো। মানুষ কোরবানির পশু কিনবে। এই সময় হরতাল দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে।
সূত্র আরও জানায়, এ সময় জামায়াতের দু’দিনের হরতাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাঈদীর (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) ফাঁসি বহাল থাকলে জামায়াত খুশি হতো। ফাঁসি হয়নি হয় তো, সে জন্যই তারা হরতাল দিয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান প্রমুখ।
সূত্র জানায়, সভায় আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা তুলে ধরেন। তারা দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দেন।
এ সময় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, আসলে আমাদের কারণেই দল ও সংগঠনের সমস্যা হয়। আমরাই সমস্যা তৈরি করি। আমার বন্ধু আমির হোসেন আমু ও ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ গত ৫ বছর সাইড লাইনে ছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, সভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলনের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদের পর এই কমিটিগুলো জেলা সম্মেলনের কাজ শুরু করবে।
তথ্য সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম