দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশী ভাষায় দক্ষতা সম্পন্নরা সমমর্যাদার অন্যান্য চাকুরীজীবীদের চেয়ে অনেক বেশী সম্মানী পাচ্ছেন। কোরিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর ভোকেশনাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিংয়ের এক সমীক্ষায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে বিদেশী ভাষায় দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে এমন চাকুরীগুলোয় গড় মাসিক বেতন প্রায় ২৭ লক্ষ উওন যা কিনা সমমানের অন্য কোন কাজের তুলনায় প্রায় ৬ লাখ উওন বেশী। ২০১১ সালে ৬,৫৭৯ জন নবীণ চাকুরের উপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল বিদেশী ভাষায় দক্ষতা তাঁদের চাকুরী পেতে কতটুকু সহায়ক ছিল। বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোরিয়া শাখায় কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদের ৬৮.৮ শতাংশ জানান বিদেশী ভাষায় দক্ষতা চাকুরীর অন্যতম প্রধান যোগ্যতা ছিল। এছাড়া বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোয় কর্মরতদের ৫৩ শতাংশ, পাবলিক কোম্পানিসমূহের ৪৫.৩ শতাংশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩.২ শতাংশ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ২৬.৬ শতাংশ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন সংস্থার ২০ শতাংশ কর্মী অনুরূপ জবাব দেন।
তবে বেতনের অংকটা কমবেশী হয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানের ধরণভেদেও। ইন্সটিটিউটের গবেষক লি ইয়ুন হে যেমন বলছিলেন, “বিদেশী কোম্পানিগুলোয় এমন দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা বেশী। ফলে সরকারি বা মধ্যম সারির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ওইসব কোম্পানির কর্মীরা অনেক বেশী মাইনে পেয়ে থাকেন।” তবে লি এ-ও বলছেন একই প্রতিষ্ঠানে সমমর্যাদার পদগুলোতেও অনেক সময় সম্মানীর পরিমানে পার্থক্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভিনদেশী ভাষায় দখল।
আর তাই কোরিয়ায় চাকুরীপ্রার্থীদের মাঝে ইংরেজী শেখার প্রবণতা বাড়ছে। লির ভাষায়, “শিক্ষাগত যোগ্যতা, পড়াশুনার বিষয়, ব্যক্তিত্ব এসবে আসলে নতুন করে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ খুব কম। ফলে দিনশেষে চাকুরীর বাজারে ইংরেজীতে দখলটাই সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রার্থীরাও তাই সেদিকে মনোযোগী হচ্ছেন।”