চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর এ নির্দেশনা দেন। যাত্রী, স্টেকহোল্ডারদের এসব নির্দেশনা মনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং এর তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। এ জন্য সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং বিমানবন্দরের আগত যাত্রী, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো। ওই দফতরের কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
সাত নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে:
‘শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন’; ‘হাঁচি-কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন’; ‘ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন’; ‘আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন’; ‘ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুন (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড)’; ‘অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না’; ‘জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন’; ‘প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন’।