ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার দুপুরে এই শিক্ষকের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একটি অধ্যাপক পদের জন্য যখন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, সামিনা লুৎফা সেই বিজ্ঞাপন অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই আবেদন করেছিলেন। তবে আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতাই করেনি, তাকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি, এমনকি তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু বিভাগের উন্নয়ন ও সমন্বয় সংক্রান্ত যে কো-অরডিনেশন এবং ডেভেলপমেন্ট কমিটি আছে, সেখান থেকে তাকে জানানো হয় যে, তার সব যোগ্যতা আছে।
“পরবর্তীতে রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিভিন্ন অ্যক্টিভিজমের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন সামিনা লুৎফা। তিনি অভিযোগ করেন যে, সিলেকশন বোর্ড তার জন্য সুপারিশ না করে যিনি তার ৮ বছর পরে ওই বিভাগে যোগদান করেছেন, তাকে অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি লিগ্যাল নোটিশ দেন, আপিল করেন। কিন্তু এসবে কাজ না হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন”।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, হাইকোর্টে মামলা, রিট হওয়ার পর প্রায় দুই মাস ধরেই এ বিষয়ে শুনানি হচ্ছিল। তবে আজ শুনানি শেষে ড. সামিনা লুৎফাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইনানুসারে জ্যেষ্ঠতাসহ অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও, তার সব বকেয়া বেতন ও ভাতা পরিশোধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ড. সামিনা লুৎফা একাধারে শিক্ষক, লেখক, গবেষক, নাট্যকর্মী, নাট্যসংগঠক এবং এক্টিভিস্ট৷ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাহসী অবস্থান নিয়ে বেশ আলোচিত হন।