যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্তে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পিটুনিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে একজনের লাশ সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আর মুমূর্ষু অবস্থায় অপরজনকে রাতে উদ্ধার করে স্বজনেরা বাড়িতে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
দুজনের মধ্যে একজনের নাম–পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুস মোড়লের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩৩)। অপরজনের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
এই যুবকদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সে সম্পর্কে বিজিবি ও পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের পিটুনিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, বিএসএফের কাছে তাঁরা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে সীমান্তের ইছামতী নদীতে একজনের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন খুলনা ব্যাটালিয়নের (২১ বিজিবি) সদস্যদের খবর দেন। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে বেওয়ারিশ অবস্থায় শার্শা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। লাশের মাথার পেছনের অংশে জখমের চিহ্ন আছে।
খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল মো. খুরশিদ আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশটি উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে বেনাপোল বন্দর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশের মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ আছে। তাঁর পরনে কোনো পোশাক ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের লাশটি শনাক্তের জন্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেউ নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
এদিকে বেনাপোল থানার পুলিশ শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুস মোড়লের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিএসএফ এর কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল মো. খুরশিদ আনোয়ার বলেন, ‘একজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে জানতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।’