বিরাট কোহলির পাশে বসে কাঁদছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিন তাকে কিছু একটা বলছিলেন। তাকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ দু’জনকে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায়। তখন অশ্বিনের কাঁধে ছিল কোহলির হাত। কোহলি সেখান থেকে উঠে যাওয়ার পরে কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় অশ্বিনকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ভারতীয় এই স্পিনার। বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের ব্রিসবেন টেস্ট ড্রর পর সত্যি হলো সেটাই। শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনে সেই কথারই সত্যতা মিলেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পাশে নিয়ে আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বলে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাদের খবরে জানায়, ঘোষণার পরপরই অবসরে চলে যাচ্ছেন অশ্বিন। ব্রিসবেনের পর থেকে ভারতের ড্রেসিংরুমেও আর দেখা যাচ্ছে না এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারকে। চলতি সিরিজে একটিমাত্র টেস্ট খেলেছেন তিনি। তাতে ৫৩ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। নিজের সবশেষ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে নিয়েছেন মোটে ৯ উইকেট।
ক্যারিয়ারের শেষে অশ্বিন টেস্ট ফরম্যাটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েই বিদায় নিচ্ছেন। ২৪ গড়ে ১০৬ টেস্টে ৫৩৭ উইকেট তার ঝুলিতে। ভারতের ক্রিকেটে অশ্বিনের সামনে আছেন কেবল ১৩২ টেস্ট থেকে ৬১৯ উইকেট নেয়া অনিল কুম্বলে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের ঘরের বাইরের সূচিতে নিয়মিত মুখ নন অশ্বিন। ভারতের পরের সিরিজ ইংল্যান্ডে। যখন খেলা হবে তখন তার বয়স হবে ৩৯। সবকিছু বিবেচনায় এখানেই ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে শেষ দেখে নিয়েছেন অশ্বিন। ৫৩৭ উইকেটের পাশাপাশি ৩ হাজার ৪৭৪ রান তার নামের পাশে। আছে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের পাশাপাশি ১১টি ম্যান অব দ্য সিরিজের বিশ্বরেকর্ড।
অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘আমার এখানে আসার কথা ছিল না। কিন্তু একটা কথা সকলকে জানানোর জন্য এসেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই আমার শেষ দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আমি অবসর নিচ্ছি।’
টেস্টে অশ্বিন অভিষেক করেন ২০১১ সালে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে অশ্বিন সেরা হন। দুটো ইনিংস মিলিয়ে তিনি নেন মোট ৯টি উইকেট। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালে এসে টেস্টের জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।