Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

 

chardike-ad

একটি ১৫ বছরের কিশোরী হাতে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালালো যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন স্কুলে। অন্যান্য দিনের মতো পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল স্কুলটিতে। হঠাৎ বন্দুক হাতে স্কুলে প্রবেশ করে ১৫ বছর বয়সী ওই স্কুলেরই এক ছাত্রী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সে। হামলার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর। আহত হন অন্তত ৬ জন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিরাপত্তাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৯ এমএম পিস্তল দিয়ে এই হামলা চালানো হয়।

বন্দুকধারী ওই ছাত্রীর নাম নাটালি রুপনো বলে জানিয়েছে পুলিশ, যিনি সামান্থা নামেও যেতেন। ম্যাডিসন পুলিশ প্রধান শোন বার্নস একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র ৯১১ নম্বরে ফোন করে বিষয়টা জানায়। বার্নস নিহতদের পরিচয় প্রকাশ না করে বলেছেন একজন শিক্ষক এবং ছাত্র গুলিতে নিহত হয়েছেন। দু জন ছাত্রের আঘাত গুরুতর। বাকি এক শিক্ষক এবং অন্য তিনজন ছাত্রের জীবনের হুমকি নেই, তাদের চিকিৎসা চলছে। K-12 স্কুল শ্যুটিং ডেটাবেস ওয়েবসাইট অনুসারে, এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২২টি স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে । ১৯৬৬ সালের পর যে কোনো বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেই ডাটাবেস গত বছরে সংখ্যাটি ছিল ৩৪৯টি। তবে উইসকনসিনের ঘটনাটা একটু আলাদা। কারণ সেখানে একটি কিশোরী মেয়েকে বন্দুক চালাতে দেখা গেছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সমগ্র গুলি চালানোর ঘটনার ৩% নারীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। সহিংসতার কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি। শ্যুটারের বাবা-মা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘নিউ টাউন থেকে উভালদে, পার্কল্যান্ড থেকে ম্যাডিসন, সর্বত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা শিশুদের বন্দুকবাজ হয়ে ওঠা থেকে আটকাতে পারছি না। ক্লাসরুমে নিরাপদ বোধ করা প্রত্যেক পড়ুয়ার অধিকার। তারা লেখাপড়া শেখার বয়সে বন্দুক চালানো এবং হামলা থেকে বাঁচা শিখছে।’