বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৩ সালে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায়ই রাজনৈতিক বিরোধীদের কার্যক্রমকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মিলিয়ে প্রচার করেছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর একটা অংশের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অবশ্য জঙ্গিদের, বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠী) এবং নব্য জেএমবির (আইএসআইএসের সহযোগী গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় তিন সেনা নিহত হন।
অন্যদিকে বাংলাদেশে অনলাইনে উগ্রবাদ উদ্বেগের বিষয় বলেও উল্লেখ করা হয়। ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন সম্মেলনের অভিযোগ ছিল।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ কিছুটা এগিয়ে থাকে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে জানানো হয়।