দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রেপ্তার হওয়া সদ্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টকে জানানো হয়েছে, কিম ইয়ং-হিউন গতকাল গভীর রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তাঁকে প্রহরীদের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে চরম সংকট দেখা দেয়। এরপর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পার্লামেন্টে অভিশংসনের উদ্যোগ নেন বিরোধীরা। তবে ক্ষমতাসীন দল সেই উদ্যোগ রুখে দেয়, যদিও নিজ দলের ভেতরেই চরম বাধার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্টকে সামরিক আইন জারির পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই দায় মাথায় নিয়েই পদত্যাগের ঘোষণা দেন কিম ইয়ং-হিউন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সামরিক আইন জারির রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের নথিপত্র জব্দ করেছেন। ১৮ জন তদন্তকারী তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন।
তল্লাশি চালানোর সময় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল তাঁর দপ্তরে ছিলেন না।