টানা ১১ জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ। শেই হোপের দারুণ ইনিংসের পর শেরফেইন রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল উইন্ডিজরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৫ রানের টার্গেট ছুঁয়েছে ১৪ বল বাকি থাকতেই। হাতে ছিল ৫ উইকেট।
৩০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা বাংলাদেশের হাতেই ছিল। কিন্তু রাদারফোর্ড পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের বোলিং। হোপ বিদায় নিলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। গ্রেভসের সঙ্গে জুটিতে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান রাদারফোর্ড।
এর আগে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করে টাইগাররা।
সেন্ট কিটসে ওপেন করতে নামে সৌম্য সরকার ও তানজিদ তামিম। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করে একাদশে সুযোগ পাওয়া সৌম্য ফেরেন মাত্র ১৯ রান করে। মাত্র ২ রান করে আউট হন লিটন দাস। তবে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তানজিদ তামিম। আর ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে ৭৪ রানে আউট হন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
জাকের আলীকে নিয়ে বড় সংগ্রহ করেন মাহমুদউল্লাহ। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করেন। মাহমুদউল্লাহ ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি জাকের আলী। ৪০ বলে ৪৮ রান করা জাকের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। আর তাতে বাংলাদেশ থামে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানে। ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (তানজিদ ৬০, সৌম্য ১৯, লিটন ২, মিরাজ ৭৪, আফিফ ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, রিশাদ ০*; জোসেফ ১০-১-৬৭-২, সিলস ১০-০-৬৩-১, শেফার্ড ১০-১-৫১-৩, গ্রেভস ৭-০-৫০-০, চেইস ৩-০-১৬-০, মোটি ১০-০-৪২-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৫/৫ (কিং ৯, লুইস ১৬, কার্টি ২১, হোপ ৮৬, রাদারফোর্ড ১১৩, গ্রেভস ৪১*, চেইস ২*; তাসকিন ৯-১-৫৩-০, তানজিম ১০-১-৫৫-১, নাহিদ ৮.৪-০-৫০-১, রিশাদ ৯-০-৪৯-১, মিরাজ ৯-০-৬২-১, সৌম্য ২-০-২৪-১)