Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রাম্পের ভয়ংকর পদক্ষেপে চাকরি হারাবেন চার লাখ মার্কিনি

 

chardike-ad

ক্ষমতা পাওয়ার প্রথম দিনেই যুদ্ধের দামামা বাজাতে চলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে পা রেখেই বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার এ যুদ্ধের কারণে চাকরি হারাতে পারেন চার লাখ মার্কিনি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ও অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতির জবাব দেবেন তারা। এতে অন্তত চার লাখ মার্কিনি তাদের চাকরি হারাবেন।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবাউম বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তাহলে মেক্সিকোও দ্রুত তার জবাব দেবে।

শেনবাউম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর ট্যারিফ আরোপ করলে আমরাও তাদের ওপর বাড়তি ট্যারিফ আরোপ করব।

এর আগে সোমবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম দিনেই তিন দেশের ওপর বাড়তি ট্যারিফ আরোপ করবেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কেবল চীনের ওপর নয়, কানাডা এবং মেক্সিকোতেও ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে তার।

মেক্সিকোর অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ডও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, এর ফলে মার্কিন কর্মীদের ব্যাপক মূল দিতে হবে।

মেক্সিকোতে তৈরি মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে চার লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর নতুন করে করারোপ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই এমন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চান তিনি।

নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। সেখানে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, নির্বাহী আদেশে জারি করা ২৫ শতাংশ করের ওপর বাড়তি আরও ১০ শতাংশ করারোপ করবেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর। যার ফলে চীন থেকে মার্কিন বাজারে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ। বেইজিং মার্কিন বাজারে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।