রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে আবারও জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর থেকে প্রথম আলোর কার্যালয়ের জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজও বিক্ষোভকারীরা প্রথম আলো অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশেরও ব্যাপক সদস্য প্রথম আলো অফিসের সামনে মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার দিনভর প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল ব্যক্তি। তারা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ। কয়েক দিন ধরে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার বিরোধিতা করে কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে একদল ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। গত শুক্রবার ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম আলোর অফিসের সামনে ‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় তারা। দুপুরের দিকে ‘জিয়াফত’ কর্মসূচি পালন করতে একটি গরু নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে আসে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল। তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে আবারও প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে এসে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তারা। এরপর কারওয়ান বাজারের ভেতরের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে একটি গরু জবাই করে।
সন্ধ্যায় সারা দেশ থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি ও নিত্যপণ্যবাহী গাড়ি আসতে শুরু করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলে। তাতে সম্মত হয়নি বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার স্টেশনে প্রবেশের ফটকও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ লোকজনকে সরিয়ে দিতে এক পর্যায়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।