মানিকগঞ্জের ভোম্বল কুমার শীলের এক ঘুমেই চলে যায় ৭ দিন। গোসল করতে লাগে ৬ ঘণ্টা, তাও আবার ছয় থেকে সাত মাস পর। একাই খেয়ে ফেলেন আট-দশজনের খাবার।
সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের অক্ষয় শীলের ছোট ছেলে ভম্বল শীল। প্রায় ২৪ বছর ধরে এমন অস্বাভাবিক জীবনযাপন চলছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। পনের বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল ভম্বল। তারপর থেকেই তার এমন পরিবর্তন।
ভোম্বল শীল বলেন, একটানা পাঁচ-সাত দিন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন কোনো কিছু না খেয়েই। ঘুমিয়েই হাজার হাজার দিন চলে গেছে তার জীবন থেকে।
ভোম্বল শীলের ভাই শংকর শীল জানান, সেলুনের কাজ করেন তিনি। সেই টাকা দিয়েই কষ্টে চলে সংসার। দুই-তিনবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তারা বলেছিল- দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা করলে সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই এই পরিবারের।
ভোম্বল ভাতিজা সৈকত শীল জানান, প্রায় ১২ বছর আগে তার চাচা বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, ভোম্বল না খেয়েই পাঁচ-সাত দিন পার করে দেয়। বাড়ির লোক ডাকাডাকি করলেও বলে একটু পরে উঠব। এই বলে আবার ঘুমায়। গোসল করতে পুকুরে নামলেও কাটিয়ে দেন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।