‘আব্বা আম্মারে কও আমরা জিইত্যালছি, অহন আমরারে সরকার অনেক পুরস্কার দিবো। অহন আর তোমারার কষ্ট করন লাগত না। আর বাজারে গিয়া তোমার কলাও বেচন লাগত না। খুব তাড়াতাড়ি বাড়িত আইতাছি’- এভাবেই মুঠোফোনে বাড়িতে কল দিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার মিলি আক্তার।
মিলি আক্তার বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নেপাল থেকে দেশের বিমানবন্দরে নেমেই কলা বিক্রেতা বাবাকে ফোন করে প্রথমে খুশির সংবাদ এভাবেই জানান দেন।
জানা যায়, গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) নেপালের রাজধানী কাঠ্মুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হন বাংলাদেশে নারীরা।
ত্রিশালের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারইগ্রামের হতদরিদ্র সামছুল হকের মেয়ে মিলি আক্তার। জাতীয় দলের সাফল্য ছাড়াও এই দলে মিলি অন্তর্ভুক্ত থাকায় চ্যাম্পিয়নের খবরে মিলির এলাকা ছাড়াও সর্বত্রই আলোচনা চলে। অনেকে খুশির খবরে মিলির বাড়িতে গিয়ে মিলির বাবা-মাকে মিষ্টিমুখ করান।