Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করবো: হাসনাত আবদুল্লাহ

 

chardike-ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, এ সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ আগামী বুধ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করা হবে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজির হয়ে আন্দোলনকারীরাদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবারের আমরা চুপ্পুকে অপসারণ করবো। সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা যদি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবে তা নির্ধারণ না করে চুপ্পুকে অপসারণ করি, তাহলে পাশের দেশগুলো আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি নেই, এটা নিয়ে তারা যেকোনও সময় আমাদের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা রাষ্ট্রপতি নির্ধারণ করবো।

এরআগে মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, বর্তমান সংবিধান বাতিল ও ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। এই সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে পুনরায় রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ ৫ দাবি দফা ঘোষণা করে বলেন, যে শহীদ মিনার থেকে আমরা ১ দফা দাবি তুলেছিলাম সে শহীদ মিনার থেকে আমরা ৫ দফা ঘোষণা দিচ্ছি।

দাবিগুলো হলো:—

১. বিদ্যমান সংবিধান অনতিবিলম্বে বাতিল করে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধান লিখতে হবে।

২. ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে

৪. এই সপ্তাহের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের আলোকে ‘প্রোকলেমেশন অব রিপাবলিক’ ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রকামী ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ চলবে।

৫. ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল এবং ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এই তিন নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং তারা যেন কখনো বাংলাদেশে নির্বাচন করতে না পারে, সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।