Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তেল চিনি মূল্যবৃদ্ধি

 

chardike-ad

বাজারে এক সপ্তাহে একটি পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে চারটির। দাম কমার তালিকায় আছে শুধু ডিম। নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের।

চারটি পণ্যের দাম আরও বাড়ল এমন এক সময়ে, যখন বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। এই চার পণ্য কেনা ছাড়া সংসারও চলে না। পণ্যগুলোর দাম কমাতে সরকার শুল্ক–করে ছাড় দিয়েছে; কিন্তু এর সুফল এখনো বাজারে পড়েনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কছাড়ের পণ্য এখনো বাজারে আসেনি। বিশ্ববাজারেও দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, শুল্ক কমানোর সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে, তাহলে প্রভাব পড়বে। দাম যাতে কমে, সে বিষয়ে নজরদারিও দরকার।

১৭ অক্টোবরই ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানো হয়। ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়ার পর সরকার শুল্ক কমায়, যাতে দাম বাড়াতে না হয়। কিন্তু সরকারি সংস্থা টিসিবি বলছে, খোলা সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম লিটারে ১–২ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহে। বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৫৩-১৫৬ টাকা ও পাম তেল ১৪৮-১৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেলের দাম বাড়েনি।

গত দুই দিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম, ১১০-১১৫ টাকা।

শুল্কছাড়ের পর ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। সরকার বাজারে নজরদারিও করছে। এতে ডিমের দাম কমেছে। গতকাল খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা কয়েক দিন আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে গতকাল শুল্কছাড়ে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম খালাস শুরু হয়। আমদানিকারকের প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, যে খরচ পড়েছে, তাতে পাইকারিতে প্রতিটি ডিম ৯ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে।

দীর্ঘদিন ধরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের আশপাশে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভের একটি কারণ ছিল নিত্যপণ্যের দাম। নতুন সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে। হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অসময়ে বৃষ্টি ও বন্যাকে দায়ী করা হচ্ছে।

এদিকে বাজারে এখনো মুরগি, বিভিন্ন ধরনের মাছ ও সবজির দাম চড়া। আলুও প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সরকার আলু আমদানিতে শুল্কছাড় দিলেও দাম তেমন একটা কমেনি।