Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নাজমুল হোসেন শান্ত কথায় নয় কাজে মনোযোগী হবেন কবে?

 

chardike-ad

ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা চমৎকার করেছিলেন তিনি। তবে, সকালের সূর্য যে সবসময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না, সেটি প্রমাণ করলেন শান্ত। সম্প্রতি শান্ত যেন হয়ে উঠেছেন দুর্বোধ্য। যাকে বোঝা কঠিন। মাঠের ক্রিকেটে ছন্দহীন, কিন্তু কথায় ঝরান ফুলঝুড়ি।

দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শুরুর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সাকিব ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে শান্ত বলে বসেন—ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেই মনে হয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখন থেকে ভাবছি প্রতিদিন স্ট্যাটাস দেব।

শান্তর এমন কথা জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। জুলাই অভ্যুত্থানে ফেসবুক কতটা ভূমিকা রেখেছে, সেটি কারও অজানা নয়। ফলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকে। কেবল তা-ই নয়, ব্যাটিং দৈন্যতা নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের জানান, ব্যাটিং জ্ঞানটা সাংবাদিকদের চেয়ে তার বেশি আছে। কখন কোথায় কোন শট খেলতে হবে তা জানা আছে শান্তর।

অথচ, সর্বশেষ ১০ টেস্ট ইনিংসের দিকে তাকালে তা অবান্তর মনে হয়। ১০ ইনিংসের ৯টিতে ব্যাট করে রান তুলেছেন ২১৭। যাতে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ৮২ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে বাকি আট ইনিংসে তার রান ১৩৫! একজন অধিনায়ক তাহলে তার ব্যাটিং শটের জ্ঞান কখন প্রয়োগ করবেন? আজ যেমন দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন শান্ত। যে কেউ যখন শট খেলার চেয়ে ডিফেন্সে মনোযোগ দেবেন।

বাংলাদেশ অধিনায়ক সে পথ মাড়ালেন না। এলেন, একটি চার মারলেন, গোটা সাতেক বল খেললেন। তারপর যা হওয়ার হলো। সাত বল খেলে সমান সাত রান করে বিদায় নেন তিনিও। ২১ রানে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। উইয়ান মাল্ডারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড অফে কেশব মহারাজের তালুবন্দি হন শান্ত। তখন সবে ষষ্ঠ ওভারের খেলা চলছে। তিনি অবশ্য বরাবরই এমন। প্রয়োজনের সময় অপ্রয়োজনীয় শট খেলে দলের বিপদ বাড়াতে ইদানিং তার জুড়ি মেলা ভার।