Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিউটি ট্রেন্ডে হেয়ার সিরাম

চুলের পরিচর্যায় তেল, শ্যাম্পু বাদেও বিউটি ট্রেন্ডে সিরাম এখন বেশ জনপ্রিয়। স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি হেয়ার কেয়ারেও সিরাম পণ্যের ব্যবহার রয়েছে। চুল উজ্জ্বল করতে সিরাম ব্যবহৃত হয়। ভেজা চুলে কিছু ক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রেখে সামান্য একটু সিরাম মেখে নিলেই কাজ শেষ। চুলের জটে চিরুনি তো আটকাবেই না।  হাইওয়ে-তে গাড়ি চালানোর মতো চুলে চিরুনি ছুটবে। অনেকে মনে করেন সিরাম ও তেল একই জিনিস। আসলে এই দুটো প্রসাধনীতে পার্থক্য রয়েছে। সিরামের কাজ মূলত রয়েছে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা, রুক্ষ চুল বশে রাখা, চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে সিরাম। তাপ থেকে চুলে যে ধরনের ক্ষতি হয়, তা-ও রুখে দিতে পারে।

chardike-ad

হেয়ার সিরাম মূলত সিলিকন বেইজড এক ধরণের তরল বিউটি প্রোডাক্ট। এই লিকুইডে অ্যামিনো অ্যাসিড ও সিরামাইড যুক্ত করা হয়।  সঙ্গে আরও বেশ কিছু রাসায়নিক এবং সুগন্ধিও থাকে। তেল বা ক্রিমের মতো ঘন, চটচটে নয়। সিরাম বরং একটু পিচ্ছিল ধরনের। চুল জটমুক্ত করার জন্য ভেজা চুলে সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অনেকেই।

সিরাম ব্যবহারে অল্পদিনেই ফলাফল পাওয়া যাবে। এবার সিরাম ব্যবহারের সুবিধা ও খুঁটিনাটি বিষয়াদিগুলো জেনে নেয়া যাক-

বিউটি ট্রেন্ডে হেয়ার সিরাম

সকলেই কি চুলে সিরাম মাখতে পারেন?

সোজা, ঢেউ খেলানো কিংবা কোঁকড়ানো সব ধরনের চুলেই জট পড়তে পারে। চুল খুলে বাইরে বেরোলে হাওয়ায় উড়ে উস্কোখুস্কো হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে সিরাম। তাই যে কোনও ধরনের চুলেই সিরাম ব্যবহার করা যায়। তবে চুলের জট ছাড়ানোর সিরাম কিন্তু মাথার ত্বকে মাখা যায় না। তাই শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মাখার পর সিরাম মাখার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। চুল যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে রোজ সিরাম না মাখলেও চলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম কিনতে পাওয়া যায়। যে ভাবে চুলের ধরন কিংবা সমস্যা বুঝে তেল, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার কেনেন, সেই ভাবেই সিরাম বেছে নিতে হবে।

কী ভাবে ব্যবহার করবেন হেয়ার সিরাম?

শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মাখার পর চুলে কিছু ক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। এ বার হাতে কয়েক ফোঁটা সিরাম নিন। দু’হাতের তালুতে ভাল করে ঘষে নিয়ে চুলে ভাল করে সিরাম মেখে নিন। হালকা ভিজে থাকতে থাকতেই কিন্তু সিরাম মাখতে হবে। মাথার ত্বকে যেন সিরাম না লাগে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি 

চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে ৩/৪ ফোঁটা সিরাম ব্যবহার করুন।  আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী সিরাম বেছে নিতে হবে। চুল লম্বা করতে হেয়ার গ্রোথ সিরাম এবং চুল নরম করতে অ্যান্টি ফ্রিজ সিরাম বেছে নিতে হবে।। সিরাম ব্যবহারের আগে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে চুল শ্যাম্পু করে নেওয়া ভাল।