শেরপুর শহরের নয়ানী বাজারে চলছিল বাজার নিয়ন্ত্রণে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের মনিটরিং। সেখানে টাস্কফোর্সের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে এক খুচরা বিক্রেতা কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা জানান। কিন্তু তার দোকানের দৈনিক মূল্যতালিকা বোর্ডে কাঁচা মরিচের বাজারদর লেখা না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ধারায় ওই দোকানিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সে সময় বাজার করতে আসা এক নারী ক্রেতা টাস্কফোর্সের কাছে অভিযোগ করেন, পাশের এক দোকানির কাছ থেকে তিনি ১২৫ গ্রাম মরিচ কিনেছেন, যার দাম নিয়েছে ৬০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে টাস্কফোর্স সেই দোকানির কাছে গিয়ে বেশি দামে মরিচ বিক্রির কারণ জানতে চান। কিন্তু দোকানের মালিক ইতোমধ্যে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে সেই দোকানে বসা এক কর্মচারী ৬০ টাকায় ১২৫ গ্রাম মরিচ বিক্রির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং ওই নারীকে অতিরিক্ত ১০ টাকা ফেরত দেন। এ সময় ওই দোকানিকে সতর্ক করে ভবিষ্যতে এ ধরনের অধিক মুনাফা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৪০০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা যায়।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শহরের স্টেডিয়াম মার্কেটের পাইকারি আড়ত এবং নয়ানি খুচরা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারের মূল্যতালিকা, ক্যাশমেমো ও মুনাফার পরিমাণ তদারকি করা হয়। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অভিযোগে মেসার্স মমিন ট্রেডার্স, রোমান এন্টারপ্রাইজ ও খালেক স্টোরকে এক হাজার করে মোট তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বাজার মনিটরিং পরিচালনা করা হয়। এতে সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক, ক্যাব সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল অংশগ্রহণ করেন। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা। স্থানীয় সাংবাদিকরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।